প্রতীকী ছবি
লকডাউন শিথিল হতেই বাবার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন পরিবারের ছোট মেয়ে। বারান্দায় দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন দিদির সঙ্গে। আচমকা সেই ঝুলন্ত বারান্দা ভেঙে নীচে পড়ে মৃত্যু হল দু’বোনের।
হাওড়ার বেলুড়ের গিরিশ ঘোষ রোড এলাকায় ওই আবাসনে তিনটি টাওয়ার রয়েছে। প্রতিটিই চারতলা। টাওয়ারগুলির নির্মাণকাজ নিয়ে একাধিক অভিযোগ ছিল। এ-ও অভিযোগ ছিল, গত ১৫ বছর ধরে বাড়িটির রক্ষণাবেক্ষণও করা হয়নি ঠিক মতো। এ নিয়ে বেলুড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ওই আবাসনেরই একটি ফ্ল্যাটবাড়ির তেতলার বারান্দা ভেঙে শনিবার রাতে মৃত্যু হল দু’বোনের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃদ্ধ বাবা ও দিদিকে দেখতে বাবার ফ্ল্যাটে এসেছিলেন ছোট মেয়ে দীপিকা ধন্ড (৩৮)। সন্ধ্যায় ফ্ল্যাটের তেতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে দিদি অনুরাধা শর্মার (৪০) সঙ্গে কথা বলছিলেন দীপিকা। হঠাৎই ঝুলন্ত বারান্দাটি ভেঙে পড়ে নীচের রাস্তায়।
শব্দ পেয়ে এলাকাবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে ঘটনাটি দেখতে পান। সঞ্জয় পাটোধিয়া নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘দুই বোন বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। আচমকাই ভেঙে পড়ল বারান্দা। এই ঘটনা দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।’’ খবর দেওয়া হয় দমকলে। তার আগে এলাকাবাসীরাই উদ্ধারকাজে হাত লাগান। দমকলের একটি ইঞ্জিনও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আসে বেলুড় থানার পুলিশও। দমকলকর্মীরা দুই বোনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। তবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় দীপিকার। গুরুতর আহত অবস্থায় অনুরাধাকে প্রথমে উত্তর হাওড়ার টি এল জয়সওয়াল হাসপাতালে ও পরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই পরে অনুরাধা মারা যান।