প্রতীকী চিত্র
মাটি খোঁড়ার সময় বোমা ফেটে জখম হলেন দুই শ্রমিক। সোমবার সকালে হুগলির চাঁপদানিতে বেণীমাধব মুখার্জি রোডে এই দুর্ঘটনায় জখম গোপাল দাস এবং চিমা দাসকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীরা মাটির নীচে বোমা পুঁতে রেখেছিল। কোদালের ঘায়ে তা ফেটেই বিপত্তি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় এক ব্যক্তি নিজের জমিতে সরকারি প্রকল্পের টাকায় ঘর তৈরির কাজে হাত দেন। ভিত খোঁড়ার কাজ চলছিল। এ দিন গোপাল এবং চিমা সেই কাজ করছিলেন। সকাল ১০টা নাগাদ ফুট দু’য়েক মাটি খোঁড়ার পরেই আচমকা বিস্ফোরণ হয়। বোমার স্প্লিন্টার ছিটকে গোপালের চোখ-মুখে এবং চিমার পায়ে লাগে। বোমা ফাটার শব্দে ওই বাড়ি এবং আশপাশের লোকেরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে চাঁপদানি ফাঁড়ির পুলিশ তদন্তে আসে।
গোপাল বৈদ্যবাটী স্টেশন সংলগ্ন ঝুপড়ির বাসিন্দা। চিমা বৈদ্যবাটী চক এলাকায় ভাড়া থাকেন। গোপাল বলেন, ‘‘সকালে মাটি কাটতে গিয়েছিলাম। কোদাল চালাতেই বোমা ফাটল। বাঁ চোখে খুব লেগেছে আমার।’’
তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানান, যেখানে বোমা ফেটেছে, সেই জায়গাটি দীর্ঘদিন ধরে ঝোপজঙ্গলে ভরে গিয়েছিল। স্থানীয় এক মহিলা বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীরা যে ওখানে বোমা রেখেছিল, বোঝাই যাচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করে তাদের ধরার চেষ্টা করুক। ওদের জন্য নিরীহ দু’জন জখম হলেন।’’
পুলিশের দাবি, দীর্ঘদিন আগে ওই জায়গায় বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল। গত কয়েক বছরে ওই জমি ব্যবহার হয়নি। কাচের শিশি বা কৌটোবোমা মাটির নীচে দীর্ঘদিন ভাল থাকতে পারে। প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগে রাখলেও অনেক দিন বোমা তাজা থাকতে পারে। সম্প্রতি কোন্নগরে ঘর তৈরির জন্য ভিতের মাটি খুঁড়তে গিয়েও কোদালের আঘাতে বোমা ফেটে জখম হয়েছিলেন এক শ্রমিক।