চোলাই বিক্রির অভিযোগে ধৃত তৃণমূল নেতাই

শেখ নাসির নামে এক ব্যক্তি ধৃত রাজকুমারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। নাসিরের দাবি, ‘‘রাস্তাঘাটে চোলাইয়ের খালি পাউচ দেখা গেলেও কিন্তু পুলিশ কাউকে ধরতে পারত না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৪০
Share:

ধৃত: আদালতে তোলা হচ্ছে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে। নিজস্ব চিত্র

চোলাই ঠেকে পুলিশের অভিযানের ঘটনা নতুন নয়। প্রতিবারই অভিযান শেষে দিন কয়েকের জন্য ভাটি বন্ধ থাকে। তারপর যে কে সেই। আর প্রতিবারই স্থানীয়দের অভিযোগ থাকে, চোলাই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শাসকদলের যোগসাজশের জেরেই এমন ঘটনা।

Advertisement

এ বার চোলাই বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির এক তৃণমূল সদস্যকেই। আরান্ডি ২ পঞ্চায়েত এলাকার পুরা গ্রামের ঘটনা। শনিবার রাতে নিজের বাড়িতে চোলাই বিক্রির সময়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ধৃতের থেকে ২০ লিটার চোলাই উদ্ধার হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম রাজকুমার পরামাণিক। তাকে রবিবার আরামবাগ আদালতে তোলা হলে বিচারক তার ৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরা গ্রামে চোলাই বিক্রির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। গ্রামে মদ বিক্রি করা যাবে না—এই দাবিতে বার কয়েক মিছিল করেছিলেন ওই গ্রামের মহিলারা। কয়েকটি চোলাইয়ের ঠেক ভাঙাও হয়। তার পরেও চোলাই বিক্রি বন্ধ হয়নি। রিতা মালিক নামে এক মহিলার অভিযোগ, ‘‘চোলাই নিয়ে থানা এবং আবগারি দফতরে বহু বার অভিযোগ জানালেও কাজ হয়নি। চোলাই ঠেক বন্ধ করতে গেলে তৃণমূল নেতা রাজকুমার বাধা দিত।’’

Advertisement

শেখ নাসির নামে এক ব্যক্তি ধৃত রাজকুমারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। নাসিরের দাবি, ‘‘রাস্তাঘাটে চোলাইয়ের খালি পাউচ দেখা গেলেও কিন্তু পুলিশ কাউকে ধরতে পারত না। শুক্রবার বিকালে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার সময় মাতালদের তাড়া খেয়ে এক শিশু রাস্তায় পড়ে আহত হয়। তারপরেই গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে রাজকুমারকে ধরে ফেলেন।’’

আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিশির সরকার বলেন, “দল অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করবে না।” তৃণমূলের আরামবাগ ব্লক সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement