উদ্যোগ: ধনেখালিতে শ্রম দফতরের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের কর্মসূচি।
অসংগঠিত শ্রমিকদের নিরিখে হুগলি জেলার প্রথম ‘সামাজিক ভাবে সুরক্ষিত পঞ্চায়েত’ ঘোষিত হল ধনেখালি ব্লকের দশঘরা-২ পঞ্চায়েত। শ্রম দফতরের আধিকারিকদের দাবি, এই পঞ্চায়েত এলাকায় বসবাসকারী বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রায় সব অসংগঠিত শ্রমিকই রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এর ফলে তাঁরা নির্দিষ্ট সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
চুঁচুড়া শ্রম দফতর সূত্রের খবর, ২০১১ সালের আর্থ-সামাজিক জনগণনার হিসেব অনুযায়ী এই পঞ্চায়েতে ৫৭৫৯ জন অসংগঠিত শ্রমিক থাকতে পারেন। সেই জায়গায় বর্তমানে নথিভুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা ছ’হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। ওই পঞ্চায়েতের বিশেষ তকমাপ্রাপ্তি উপলক্ষে শুক্রবার গুড়াপে গণ-সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল দফতরের তরফে। সেখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রের
অসংগঠিত শ্রমিকদের হাতে সামাজিক সুরক্ষার সুযোগ-সুবিধা হিসেবে অর্থ তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র, চুঁচুড়ার সহকারী শ্রম কমিশনার অনিন্দিতা ভট্টাচার্য প্রমুখ।
শ্রম দফতরের এক আধিকারিক জানান, ওই প্রকল্পে নথিভুক্ত শ্রমিকদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য টাকা দেওয়া হবে। অসুস্থতা বা কেউ শারীরিক ভাবে অসমর্থ হলে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করালে সেই সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধাও মিলবে। প্রকল্পে নথিভুক্ত শ্রমিকের বাড়িতে ঢোকার মুখে একটি ‘স্টিকার’ সাঁটা হবে। ওই দিনই দশঘরা-২ পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জায়গায় সেই কাজ শুরু হয়েছে।
রাজ্যে প্রথম এখানেই এই ধরনের ‘স্টিকার’ সাঁটার কাজ শুরু হল বলে ওই আধিকারিকের দাবি। তিনি বলেন, ‘‘ওই স্টিকার দেখে নথিভুক্ত শ্রমিক চেনা যাবে। প্রতিবেশীরাও এই বিষয়ে জানতে পারবেন। সচেতন হবেন। সব জায়গাতেই অসংগঠিত ক্ষেত্রের সমস্ত শ্রমিককে যাতে এই প্রকল্পের আওতায় আনা যায়, সেই জন্য বাড়ি বাড়ি অভিযান চালানো হবে।’’