দাবিদাওয়া: চুঁচুড়া শিক্ষকদের মিছিল বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
যোগ্যতা অনুযায়ী তকমা এবং বেতন কাঠামো পরিবর্তনের দাবিতে পথে নেমেছেন বিদ্যালয়ের স্নাতক যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার হুগলিতে ‘বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর ডাকে জেলা সদর চুঁচুড়ায় কয়েকশো শিক্ষক আন্দোলনে সামিল হন।
এ রাজ্যের সরকারপোষিত মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল, মাদ্রাসা, হাই মাদ্রাসায় স্নাতক শিক্ষক রয়েছেন এক লক্ষেরও বেশি। হুগলিতে এই সংখ্যা কয়েক হাজার। তাঁরা জানান, জেনারেল বিভাগের স্নাতক হওয়ায় তাঁরা ‘পাস গ্র্যাজুয়েট টিচার’ (পিজিটি) হিসেবে পরিচিত। অথচ গোটা দেশে সম যোগ্যতার শিক্ষকরা পরিচিত ‘ট্রেন্ড গ্র্যাজুয়েট টিচার’ (টিজিটি) নামে। ‘বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর হুগলি জেলা সম্পাদক চিন্ময় ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের ‘পাস গ্র্যাজুয়েট টিচার’ বলার কোনও অর্থ নেই। ‘পাস’ শব্দটির কোনও গুরুত্ব নেই। তা ছাড়া সর্বভারতীয় ক্ষেত্রের নিরিখে আমাদের বেতন কাঠামোর সাযুজ্য নেই। আমরা বঞ্চিত হচ্ছি।’’
বৃহস্পতিবার তিনশো শিক্ষক হুগলিতে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের (ডিআই) কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। সেখান থেকে মিছিল শুরু হয়ে পিপুলপাতি মোড় ঘুরে ডিআই কার্যালয়ের সামনেই মিছিল শেষ হয়। ডিআই কার্যালয়ের সামনে সভা শেষে তারপর ডিআই লক্ষ্মীধর দাসকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
সংগঠনের তরফে দাবি জানানো হয়, তাঁদের ‘পাস’ তকমা মুছে দিতে হবে। সর্বভারতীয় স্তরের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ‘টিজিটি’ কাঠামো অনুযায়ী বেতন দিতে হবে। ওই শিক্ষকদের আরও বক্তব্য, স্টাফ প্যাটার্ন পরিকল্পনা মতো না হওয়ায় এক বিষয়ে পারদর্শী শিক্ষককে অন্য বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করা হচ্ছে। চিন্ময়বাবু বলেন, ‘‘ডিআইয়ের সঙ্গে গোটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। উনি আশ্বাস দিয়েছেন আমাদের দাবি বিবেচনার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।’’