ছবি: সংগৃহীত
যানজট এড়াতে কাল, নতুন বছরের শুরুর দিন থেকেই হুগলির জেলাসদর চুঁচুড়ার বেশ কিছু রাস্তা ২৪ ঘণ্টার জন্য ‘একমুখী’ করা হচ্ছে। পুলিশের উদ্যোগে স্বস্তিতে শহরবাসী।
চন্দননগর কমিশনারেট সূত্রে জানানো হয়েছে, জিটি রোড থেকে খাদিনা মোড় হয়ে শহরে প্রবেশ করতে হলে তোলাফটক পেরিয়ে ফুলপুকুর, গোরস্থান মোড়, বাসস্ট্যান্ড হয়ে ঘড়ির মোড়ে পৌঁছতে হবে। আবার শহর থেকে বেরোতে গেলে ঘড়ির মোড়, খড়ুয়া বাজার, তোলাফটক (মণিকোঠার মোড়) হয়ে বেরোতে হবে। পিপুলপাতি থেকে ঘড়ির মোড়ে আসতে হলে হাসপাতাল রোড, আখনবাজার হয়ে আসতে হবে। বেরোনোর সময় বড়বাজার হয়ে গঙ্গার ধারের রাস্তা ধরে পিপুলপাতি যেতে হবে। মণিকোঠার মোড় থেকে ঘড়ির মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি অবশ্য অনেকদিন ধরেই একমুখী। কিন্তু বেশির ভাগ গাড়ি-চালকেই সে নিয়ম মানেন না বলে অভিযোগ।
নতুন নিয়মে যান চলাচলের জন্য কমিশনারেটের পক্ষ থেকে সোমবার থেকে মাইকে প্রচার চালানো হয়। চালকদের আইন মেনে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। কমিশনারেটের এডিসিপি (ট্র্যাফিক) হরেকৃষ্ণ হালদার বলেন, ‘‘শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে আইনের তোয়াক্কা না করে গাড়ি দাঁড় করানোর ফলে যানজট হচ্ছে। রোগী থেকে শুরু করে সাধারণ পথচারীরা বিপাকে পড়ছেন। যানজট এড়াতেই কিছু রাস্তায় একমুখী যান চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
জেলাসদরের যানজট নিত্যদিনের সমস্যা। চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের সামনে যানজটের জেরে প্রায়ই রোগী নিয়ে আসা অ্যাম্বুল্যান্স আটকে পড়ে। ট্র্যাফিক পুলিশ থাকা সত্ত্বেও এক শ্রেণির গাড়ি-চালক নির্দেশের তোয়াক্কা করেন না বলে অভিযোগ। এর জেরে শুধু রোগী নিয়ে আসা লোকজনেই সমস্যায় পড়েন না, নির্দিষ্ট ট্রেন ধরতে গিয়েও অনেকের দেরি হয়ে যায়।
নতুন ব্যবস্থা কার্যকর হলে যানজট থেকে রেহাই মিলবে বলেই মনে করছেন অনেকে। মোনালিসা দত্তরায় নামে শহরের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘বাড়ি থেকে বেরিয়ে হাসপাতাল রোড ধরে চুঁচুড়া স্টেশন পৌঁছতে হয়। কিন্তু ওই রাস্তায় যানজটে প্রতিদিন এতটাই দেরি হয় যে বেশিরভাগ দিনই নির্দিষ্ট ট্রেন ধরতে পারি না। একমুখী যান চলাচল শুরু হলে ওই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে বলেই মনে হয়।’’