বাধা: পুরসভার নির্দেশে বন্ধ কাজ। নিজস্ব চিত্র
অনুমতি না-নেওয়ায় চুঁচুড়ার তালডাঙায় একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিল পুরসভা।
জিটি রোডের কাছে পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে অন্তত ২২ বিঘের জমিতে ওই নির্মাণকাজ চলছিল। এ জন্য অনেক আম গাছ কাটা পড়েছে। বুধবার সকালে চুঁচুড়ার বিধায়ক তপন মজুমদার ওই এলাকায় এখটি দলীয় কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন। সেখানেই ওই নির্মাণকাজ তাঁর নজরে আসে। বিধায়ক হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মজুমদারকে বিষয়টি জানান। গৌরীকান্তবাবুও ঘটনাস্থলে আসেন। তারপরেই নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশ দেন।
গৌরীকান্তবাবু বলেন, ‘‘পুরসভার নির্দিষ্ট অনুমতি ছাড়া কোনও নির্মাণকাজ করা যায় না। তাই ওই নির্মাণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে গাছ কাটা হয়েছে। পুরোপুরি বেআইনি ভাবে নির্মাণকাজ হচ্ছে দেখে বন্ধ করে দিই। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ এ বার বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিক।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিধায়ক বলেন, ‘‘আমি গিয়ে দেখি, রীতিমতো পাঁচিলে ঘিরে ফেলা হয়েছে ওই জমি। আগে ওখানে প্রচুর আম গাছ ছিল। সব কেটে ফেলা হয়েছে। বন দফতরের অনুমতি নেওয়া হয়নি। ছয় থেকে আটটি পিলার ঢালাই করে পুরোদমে নির্মাণকাজ হচ্ছে। অথচ, স্কুল নির্মাণের কোনও অনুমতিই নেই।’’
নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আনন্দবাজারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল। ফোনে তাঁদের তরফে জানানো হয়, বিষয়টি তাঁদের নজরে এসেছে। সংস্থার কলকাতা অফিস থেকে পুলিশ এবং পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে স্কুল তৈরির জন্য একটি প্রাথমিক ‘সাইট প্ল্যান’ জমা দেওয়া হয়েছিল। তা দেখে শুধুমাত্র জির মাটি পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কোনও নির্মামের অনুমতি দেওয়া হয়নি। নির্মাণের জন্য বিধি অনুযায়ী ভিন্ন অনুমতি নেওয়ার কথা স্কুল কর্তৃপক্ষের। কিন্তু এখনও তা নেওয়া হয়নি।
জমিটি আদতে শ্রীশ্রী ঈশ্বর গোপাল জিউ ট্রাস্টের। ওই ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য তৃণমূলেরই চুঁচুড়া-মগরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ দাস। তাঁর দাবি, ‘‘আদালতের নির্দেশমতো জমিটি স্কুল কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানে স্কুল নির্মাণের কাজ চলছিল। কেন পুরপ্রধান এবং বিধায়ক সেখানে গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন, বুঝতে পারছি না।’’