হাহাকার: মৃত রাজেশের দাদা। নিজস্ব চিত্র।
শিবরাত্রি উপলক্ষে তারকেশ্বর মন্দিরে যেতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল কলকাতার নারকেলডাঙার তিন যুবকের। জখম হন এক জন। শুক্রবার দুপুরে মন্দিরের তিন কিলোমিটার আগে তাঁরা একটি স্কুটিতে চড়েন। কিন্তু তারকেশ্বরের বাগবাড়ি এলাকায় একটি কাঠের গুঁড়ো বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে স্কুটিটির সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আকাশ দাস (২৬), রাজেশ দাস (২১) এবং রাজ দাসের (২০)। জখম ছোট্টু দাসকে প্রথমে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। নারকেলডাঙা থেকে বৃহস্পতিবার সকালে বেরনো ১৫-২০ জনের দলে ছিলেন ওই চার জন। দলের একজন নিজের স্কুটিটিও সঙ্গে নেন। ওই দিন বিকেলে তাঁরা শেওড়াফুলির নিমাইতীর্থ ঘাট থেকে গঙ্গা জল নিয়ে হেঁটে তারকেশ্বর রওনা হন। শুক্রবার দুপুরে বাগবাড়ি এলাকায় তারকেশ্বর-বৈদ্যবাটী রোডের ধারে একটি দোকানে তাঁরা চা খান। সেখান থেকে স্কুটিতে চড়েন ওই চার জন। বাগবাড়ি থেকে তারকেশ্বর মন্দির মাত্র তিন কিলোমিটার। রওনা দিয়ে কিছুটা এগোতেই ওই দুর্ঘটনা। রাজেশই স্কুটি চালাচ্ছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্রেন দিয়ে ট্রাকটি সরিয়ে তিনটি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ট্রাক-চালককে গ্রেফতার করা হয়।
রাজেশের দাদা রোশনও ওই দলের সঙ্গে তারকেশ্বরে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘ভাইরা চার জন আর হাঁটতে পারছিল না। তাই মন্দিরের এত কাছে এসে স্কুটিতে চড়ে। এমন ঘটনা ঘটবে ভাবতে পারছি না।’’