নোটকাণ্ডে আয়কর দফতরের নজরে আরামবাগের চালকল মালিক

নোট বাতিল কাণ্ডে বেনামি লেনদেন নিয়ে আরামবাগের মিল মালিকরাও এবার আয়কর দফতরের নজরে। বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ব্লকের গন্ডগ্রাম কেন্দুর সমবায় সমিতিতে একদিনে জমা পড়া ১ কোটি ১২ লক্ষ টাকার তদন্তে নেমেছিল আয়কর দফতরের কলকাতা তথা পূর্বাঞ্চল শাখা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:২৫
Share:

নোট বাতিল কাণ্ডে বেনামি লেনদেন নিয়ে আরামবাগের মিল মালিকরাও এবার আয়কর দফতরের নজরে। বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ব্লকের গন্ডগ্রাম কেন্দুর সমবায় সমিতিতে একদিনে জমা পড়া ১ কোটি ১২ লক্ষ টাকার তদন্তে নেমেছিল আয়কর দফতরের কলকাতা তথা পূর্বাঞ্চল শাখা। ওই ঘটনাতেই আরামবাগের নৈসরাইয়ের এক চালকল মালিকের যোগসূত্র পেয়েছে তারা। একপ্রস্থ তদন্তের পর সেই টাকার মধ্যে ৫২ লক্ষ টাকা হিসাববহির্ভূত বলে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে। তদন্তের পরবর্তী পদক্ষেপ এবং পরিকল্পনা নিয়ে গত শুক্রবার আয়কর দফতরের দুর্গাপুর আঞ্চলিক অফিসে বিশেষ বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে নৈসারইয়ের ঘটনার পর আরামবাগ মহকুমা সহ সংলগ্ন বর্ধমান এবং বাঁকুড়ার সমস্ত চালকলগুলির লেনদেন আয়কর দফতর খতিয়ে দেখবে।

Advertisement

কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ সাংবিধানিক কার্যনির্বাহী শুভজিৎ দত্ত বলেন, “কেন্দুর সমবায় সমিতিতে জমা পড়া ১ কোটি ১২ লক্ষ টাকার মধ্যে ৫২ লক্ষ টাকা হিসাব বহির্ভূত বলে চিহ্নিত হয়েছে।’’

আয়কর দফতর সূত্রে খবর, গত ২০১৬-র ৮ নভেম্বর সরকার আগের ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণার পর ১০ নভেম্বর কেঁদুর গ্রামের ব্যবসায়ী রাজকুমার সাহানা পরিবার, আদিত্য রায় পরিবার-সহ একটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠী কেন্দুর সমবায় সমিতিতে ওই দুই নোটে মোট ১ কোটি ১২ লক্ষ টাকা জমা করেন। যে গ্রামীণ সমবায় ব্যাঙ্কে প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকাও লেনদেন হয় না সেখানে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা জমার বিষয়টি আয়কর দফতরের নজরে আসে। তদন্তে নেমে আয়কর দফতর জানতে পারে ওই টাকার অনেকটাই আরামবগের নৈসরাইয়ের এক চালকল মালিক বিনয়কৃষ্ণ রেজা লেনদেন করেছেন।

Advertisement

যদিও বিনয়বাবুর দাবি, কেন্দুর সমবায় সমিতিতে জমা পড়া টাকার সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement