পুজোর মুখে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের নায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সোমবার চন্দননগর মহকুমা শাসকের অফিসে বেশ কয়েক ঘন্টা অবস্থান বিক্ষোভ করলেন শ্রমিকেরা। শেষে প্রশাসনের তরফে বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিলে তাঁরা সরে যান। এদিন ওই অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার শ্রমিকেরা। অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কল্যাণ সমিতির তরফে বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন,‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর বারে বারেই রাজ্যকে চিঠি দিয়ে যে সব জুটমিল ও অন্যান্য সংস্থা অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের সারা জীবনের অর্জিত বিধিবদ্ধ পাওনা দিচ্ছে না তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলছে। কিন্তু রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না।’’ সোমবার দুপুরে রাজ্যের কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা চন্দননগরের চার্চ মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। তারপর সেখান থেকে মিছিল করে চন্দননগরের মহাকুমাশাসকের দফতরের কাছে জড়ো হন। এরপর চার দফা দাবিসহ একটি স্মারকলিপি দেন আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দল। তাঁদের অভিযোগ, কারখানা শ্রমিক ২০০০ টাকার নীচে পেনশান পান। তারপরও রেশন কার্ড নির্দিষ্ট সুবিধাযুক্ত (এএওয়াই) তালিকায় আনা হচ্ছে না। অবসর গ্রহণের পর নিয়মমাফিক পাওনা মেটানো হচ্ছে না। পাওনা আদায়ে অসুস্থ, অশক্ত শরীরে তাঁদের আদালতে যেতে হচ্ছে। বছরের পর বছর মামলা লড়ে খন তাঁদের পাওনা মিলছে অনেকেই মারা যাচ্ছেন। চন্দন নগরের মহকুমাশাসকর সুব্রত বিশ্বাস অবশ্য আন্দোলনকারীদের দাবি সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানোর আশ্বাস দেন।