‘সবুজ ঠিকানা’ থাক মণ্ডপে, আবেদন

এই জেলায় দুর্গাপুজো দিয়ে উৎসবের শুরু হয়েছে। কালীপুজো, কার্তিক পুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো হয়ে তা শেষ হবে সরস্বতী পুজোতে। পরিবেশ-বান্ধব পুজো করতে যৌথ-মঞ্চ ‘গাইড লাইন’ তৈরি করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ ০২:০৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

উৎসবের মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা কতটা পরিবেশ-বান্ধব থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। ডিজে, শব্দবাজি-সহ কানফাটানো নানা আওয়াজ কোন মাত্রায় পৌঁছবে, সে উদ্বেগও রয়েছে পরিবেশপ্রেমীদের। রয়েছে দূষণ নিয়ে চিন্তা। তাই উৎসবকে পরিবেশ-বান্ধব করতে চন্দননগরের পরিবেশপ্রেমী ১৪টি সংস্থার যৌথমঞ্চ হুগলি জেলার সব পুজো উদ্যোক্তার কাছে আবেদন জানাল। একই আবেদন জানানো হয়েছে জেলার সব পুরসভা, জেলা পরিষদ এবং পুলিশের কাছেও।

Advertisement

এই জেলায় দুর্গাপুজো দিয়ে উৎসবের শুরু হয়েছে। কালীপুজো, কার্তিক পুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো হয়ে তা শেষ হবে সরস্বতী পুজোতে। পরিবেশ-বান্ধব পুজো করতে যৌথ-মঞ্চ ‘গাইড লাইন’ তৈরি করেছে। সেই ‘গাইড লাইন’ যাতে পুজো উদ্যোক্তারা মেনে চলেন, সে ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছে তারা। শুরু হয়েছে লিফলেট-বিলিও। তা পৌঁছেছে জেলা পরিষদেও। যাতে গ্রামীণ এলাকাতেও এ ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানো যায়।

এ বার কলকাতার মধ্যে পরিবেশ-বান্ধব পুজো করার জন্য কলকাতা পুরসভা পুরস্কার ঘোষণা করেছে। কিন্তু জেলায় এখনও সেই উদ্যোগ কোথাও সামনে আসেনি। যে পরিবেশপ্রেমী সংস্থাগুলি এ বার পরিবেশ-বান্ধব পুজোর জন্য উদ্যোগী হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে চন্দননগরের পরিবেশ অ্যাকাডেমি। ওই সংস্থার কর্তা বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি যে সব পুজো কমিটি পরিবেশ-বিধি ভাঙবেন, তাদের পরবর্তী সময়ে পুজো করার অনুমতি যেন বাতিল করা হয়।’’

Advertisement

উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেক চিকিৎসকও। তাঁদের মধ্যে উত্তরপাড়ার চিকিৎসক ঐশ্বর্যদীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এই পদক্ষেপ খুব জরুরি। যে মাত্রায় ডিজে বাজে, তাতে শিশু ও বয়স্ক মানুষের শরীরে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। সে জন্য বধিরতা মারাত্মক হারে বাড়ছে। এ নিয়ে প্রত্যেক মানুষের সচেতন হওয়া দরকার।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement