ব্যান্ডেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় উচ্ছেদের নোটিসে চিন্তিত বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। —নিজস্ব চিত্র।
উচ্ছেদের নোটিস দিয়েছে রেল। ব্যান্ডেলে রেলের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিল তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করা চলবে না। রেলের জমিতে বসবাসকারীদের স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার নিদান দিলেন, কেউ কাগজপত্র চাইতে এলে তাঁরা যেন ঝাঁটা মেরে তাড়িয়ে দেন।
ব্যান্ডেল স্টেশন সংলগ্ন ক্যান্টিনবাজার, পিরতলা, সাহেববাগান, সাহেবপাড়ায় কয়েকশো পরিবার দীর্ঘদিন রেলের জমিতে বসবাস করে। ক্যান্টিনবাজারে অনেকের দোকানও রয়েছে। সম্প্রতি ওই বসতি উচ্ছেদের নোটিস দেয় রেল। চিন্তায় পড়েন বাসিন্দারা। তাঁদের প্রশ্ন, তুলে দেওয়া হলে তাঁরা কোথায় যাবেন? ওই জায়গা ফাঁকা করতে হলে বিকল্প ব্যবস্থা করারও দাবি তোলে তাঁরা। শান্তি হরিজন নামে এক মহিলা বলেন, ‘‘জন্ম থেকে এখানে আছি। তুলে দিলে কোথায় যাব? বিকল্প ব্যবস্থা না করলে সরব না।’’
শুক্রবার এলাকায় যান স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন ব্যান্ডেল পঞ্চায়েতের প্রধান নিতু সিংহ-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। রেলের জমিতে বসবাসকারী পরিবারের মহিলাদের বিধায়ক বলেন, কেউ তাঁদের তুলে দিতে পারবে না। তাঁরা যেন কাউকে কাগজপত্র না দেখান। কেউ বাড়িতে এলে যেন ঝাঁটা মেরে তাড়িয়ে দেন। অনেকেই মনে করছেন, রেলের লোকজনকেই যে ঝাঁটাপেটার নিদান বিধায়ক দিয়েছেন, তাঁর বক্তব্য থেকেই তা পরিষ্কার।
সংবাদমাধ্যমকে বিধায়ক বলেন, ‘‘রেলের আবাসন এবং সংলগ্ন জায়গায় স্বাধীনতার পর থেকে বসতি গড়ে উঠেছে। রেল এই সব গরিব মানুষের পেটে লাথি মারতে চাইছে। এতেই রেল তথা বিজেপি সরকারের আনন্দ। আগামী ১০ তারিখের মধ্যে জায়গা খালি করতে বলেছে। মগের মুলুক নাকি? বিকল্প ব্যবস্থা না করে কাউকে সরানো যাবে না। সেই চেষ্টা হলে তার বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করব।’’
রেলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘রেল নিজের জায়গা জবরদখলমুক্ত করতে চাইছে। আইন মেনেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’ বিধায়কের বক্তব্য নিয়ে তিনি মন্তব্য করতে চাননি।
শ্রীরামপুরেও মালগুদাম সংলগ্ন জায়গা জবরদখলমুক্ত করতে নোটিস দিয়েছে রেল। পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করা চলবে না, এই দাবিতে সেখানেও তৃণমূল পথে নেমেছে।