সোনি ও উপেন্দ্র রজক।
বালিখাল সংলগ্ন গঙ্গার ঘাটে তরুণীর কাটা মাথা ও দেহাংশ উদ্ধারের ঘটনায় ধৃতদের শনাক্তকরণ (টিআই) প্যারেড করাল পুলিশ। সোমবার হাওড়া জেলা সংশোধনাগারে ওই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শিবপুরের বাসিন্দা, তরুণী গৃহবধূ সোনি রজককে খুন ও দেহ লোপাটের ঘটনায় তাঁর স্বামী উপেন্দ্র রজক ও তার দুই সহযোগী দিলবর খান ও সেকলিন শামিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছিল, গত বৃহস্পতিবার ভোরে ওই তিন জন মিলেই সোনির কাটা মাথা ও অনেকগুলি দেহাংশ, ধারালো অস্ত্র, জামাকাপড় চারটি ব্যাগে ভরে বালিখাল সংলগ্ন ঘাটে ফেলে দিয়েছিল। সেই কাজে উপেন্দ্ররা যে ট্যাক্সি ও রিকশা ব্যবহার করেছিল, সেগুলির চালকদের দিয়েই এ দিন তিন জনকে শনাক্ত করানো হয়। চালকেরা এ দিন ধৃতদের শনাক্ত করে জানিয়ে দেন, কখন, কী ভাবে ওই তিন জন তাঁদের ট্যাক্সি ও রিকশা ভাড়া করেছিল। ঘটনার দেড় দিনের মাথায় বালি থানার পুলিশ ও হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা তরুণীর কাটা মাথা রহস্যের কিনারা করেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, গ্রেফতারের পরে তিন জনকে জেরা করে জানা গিয়েছিল, শিবপুরে নিজের ফ্ল্যাটেই স্ত্রীকে খুন করেছিল উপেন্দ্র। খুনের পরে ফিনাইল দিয়ে ঘর ও শৌচাগারের রক্ত মোছা হয়েছিল। গত শনিবার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে আরও নমুনা সংগ্রহের জন্য রাজ্য ফরেন্সিক ও সায়েন্স ল্যাবরেটরির কাছে আবেদন জানিয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশ। আজ, মঙ্গলবার শিবপুরে উপেন্দ্রর ফ্ল্যাটে এবং বালির গঙ্গার ঘাটে যাবেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল। তদন্তের জন্যই বালিখাল সংলগ্ন গঙ্গার ঘাটটিতে লোকজনের যাতায়াত বন্ধ রেখেছে পুলিশ।