প্রতীকী ছবি।
সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হলেও হুগলিতে নানা উৎসব-অনুষ্ঠানে ডিজে বন্ধে পুলিশের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্নের অন্ত নেই। সরস্বতী পুজোর বিসর্জনে অবশ্য জাঙ্গিপাড়ায় পুলিশকে দেখা গিয়েছে অন্য ভুমিকায়। সেখানে পুলিশের সামনে ডিজেপ্রেমীদের জারিজুরি খাটেনি। নিষিদ্ধ এই বক্স পুলিশ বন্ধ করে দেয়। এ জন্য বুধবার চুঁচুড়ার একটি বিজ্ঞান সংস্থার তরফে জাঙ্গিপাড়া থানার পুলিশকে স্মারক এবং শংসাপত্র দেওয়া হয়।
ওই সংস্থার সদস্যেরা দীর্ঘদিন ধরেই ডিজের বিরুদ্ধে অভিযান করছেন। তাঁরা জানান, রাজবলহাট এবং আঁটপুরে ডিজে বন্ধ করতে পুলিশের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তাঁরা ওই এলাকায় ঘুরে জেনেছেন, গ্রামবাসীরা পুলিশের ভূমিকায় খুশি। একই সঙ্গে তাঁরা জানান, তাঁদের লাগাতার প্রচারে গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে বিশেষত চুঁচুড়ায় পুলিশ নড়েচড়ে বসেছিল। পুলিশের তরফেও সেখানে ডিজে-বিরোধী প্রচার চালানো হয়। কিন্তু গত ২৫ ডিসেম্বরের পর থেকে উৎসব অনুষ্ঠানে জেলা-সদরে ডিজের রমরমা ফিরে এসেছে। সংগঠনের এক কর্তা বলেন, ‘‘জাঙ্গিপাড়া থানা যদি পারে, তা হলে অন্য জায়গায় তা হবে না কেন?’’ এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। হরিপাল, চণ্ডীতলায় ডিজের দাপট নিয়ে অনেকেই সরব।
চুঁচুড়ার বিজ্ঞান সংস্থাটির তরফে গত রবিবার চন্দননগরের বিভিন্ন জায়গায় ডিজের বিরুদ্ধে সভা করা হয়। শুধু পুলিশ নয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভূমিকা নিয়েও তাঁরা সরব হয়েছেন। এ নিয়ে লিফলেটও ছড়ানো হয়। জাঙ্গিপাড়ার পুলিশের ভূমিকায় ডিজের বিরুদ্ধে নাগরিক আন্দোলনে ভরসা জোগাবে বলে অনেকে মনে করছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এ নিয়ে জনমত তৈরি হচ্ছে। ওই ব্লকে বেশ কিছু দিন ধরেই ডিজের বিরুদ্ধে নাগরিক আন্দোলন চলছে। পুলিশের তরফেও মাইকে প্রচার করা হয়।
পুলিশ ডিজে বন্ধ করায় দিনকয়েক আগে রাজবলহাটে ডিজের বিরুদ্ধে প্রচার চালানোয় একটি সংগঠনের কর্মকর্তা এক চিকিৎসকের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ ওঠে কিছু যুবকের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে শ্রীরামপুর মহকুমার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সরব হয়েছে। তারা ঠিক করেছে, গোটা বিষয়টি নিয়ে শ্রীরামপুরের মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। জাঙ্গিপাড়ার উদাহরণ দিয়েই মহকুমার সর্বত্র ডিজে বন্ধের দাবি ফের জানানো হবে। মহকুমাশাসক (শ্রীরামপুর) সম্রাট চক্রবর্তী জানান, নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সব জায়গাতেই ডিজে বন্ধ করা হবে। একই কথা জানিয়েছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট।