জেলা শাসকের দফতরে ভিড়। সোমবার চুঁচুড়ায়। —নিজস্ব িচত্র
চেনা ছন্দটা ফিরে এল অনেকটাই।
লকডাউন শিথিল পর্বের দ্বিতীয় দফায় সোমবার দুই জেলারই সরকারি অফিসগুলিতে কর্মীদের হাজিরা বাড়ল। রাস্তায় বাস কম। তবু অফিস পৌঁছনোর প্রতিবন্ধকতাকে গুরুত্ব দিলেন না অনেকেই। ব্যক্তিগত ব্যবস্থাতেও তাঁরা অফিস পৌঁছলেন।
লকডাউনের পরে সোমবারই চুঁচুড়ায় হুগলির জেলাশাসকের অফিস খুলল। জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও জানান, চারটি মহকুমায় সরকারি অফিসে অফিসারদের হাজিরা ছিল ১০০ শতাংশ। কর্মীদের উপস্থিতি ছিল ৬৫ শতাংশ।
দুপুরে জেলাশাসকের দফতরে চুঁচুড়া মোটরযান বিভাগের কর্মী সমর মজুমদারকে দেখা গেল, কাজ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন। তাঁর কাউন্টারে ১০০ জনেরও বেশি লোকের লাইন। জেলাশাসকের দফতরের কর্মী স্বপন দাস বলেন, ‘‘লকডাউনের জেরে বেশ কয়েকমাস গৃহবন্দি থেকেছি। তাই আজ আর কামাই করতে চাইনি।’’
শ্রীরামপুর, চন্দননগর এবং আরামবাগ মহকুমার সরকারি অফিসগুলি অনেকটাই গমগম করেছে। আরামবাগের মহকুমাশাসক নৃপেন্দ্র সিংহ জানান, মহকুমা প্রশাসন এবং ব্লক প্রশাসনের অফিসগুলিতে আগে থেকেই ৯৫ শতাংশ হাজিরা ছিল। এখন সমস্ত দফতরেই কর্মীরা হাজির হচ্ছেন। সরকারি নির্দেশ আছে, কোনও কাজ ফেলে রাখা যাবে না।
খানাকুল-১ ব্লকের মতো দুর্গম এলাকাতেও সরকারি কর্মীরা হাজির ছিলেন। বিডিও দেবাশিস মণ্ডল বলেন, “শ্রীরামপুর থেকে ২২০০ টাকা অটো ভাড়া করেও আমাদের কর্মী এসেছেন।”
তবে, যাঁদের ট্রেনপথই একমাত্র ভরসা, তাঁরা দফতরে হাজির হতে পারেননি। কারণ, লোকাল ট্রেন এখনও চালু হয়নি।
সরকারি দফতরগুলিতে হাজিরার একই চিত্র দেখা গিয়েছে হাওড়াতেও। এ দিন জেলা পরিষদ খুলেছে। তিনটি স্থায়ী সমিতির (বন ও ভূমি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, কৃষি-সেচ ও সমবায়) বৈঠকও হয়। তিনটি বৈঠকেই আমপান পরবর্তী পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা হয় বলে জেলা পরিষদ সূত্রের খবর।
জেলার ব্লক অফিসগুলিতে এবং উলুবেড়িয়া মহকুমাশাসকের দফতরে এ দিন গড়ে ৮০ শতাংশ হাজিরা ছিল বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর। বিভিন্ন ব্লক প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, আজ, মঙ্গলবারেও যদি বাস চলাচল স্বাভাবিক না হয়, তা হলে অনেক দূর থেকে যে সব
কর্মচারী আসেন, তাঁদের অফিসেই রাখার ব্যবস্থা করা হবে। বাকিদের জন্য সম্ভব হলে গাড়ির ব্যবস্থা হবে। সে ক্ষেত্রে কোনও একটি পয়েন্টে সরকারি গাড়ি থাকবে।