প্রতীকী ছবি।
খাদ্য দফতরের ওয়েবসাইটে তিনি দেখেছেন, তাঁর রেশন কার্ড হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ৮ মাস ধরে রেশন ডিলার এবং খাদ্য দফতরের অফিসে ঘুরেও রেশন কার্ড হাতে পাননি খানাকুলের রাজহাটির মুনমুন চক্রবর্তী চট্টোপাধ্যায় নামে এক মহিলা। কার্ড না থাকায় তিনি রেশন সামগ্রী তুলতে পারছেন না। তাই ব্লক খাদ্য দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতি এবং হয়রানির অভিযোগ তুলে জেলা এবং রাজ্য খাদ্য দফতরের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা খাদ্য দফতরের এক কর্তা। খাদ্য দফতরের খানাকুল-২ ব্লক ইন্সপেক্টর দেবাশিস রায় বলেন, “কার্ডটা কোনও ভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই উপভোক্তা যাতে ডুপ্লিকেট রেশন কার্ড পান সেই মতো নির্দিষ্ট ফর্মে (৯ নম্বর) আবেদন করিয়ে তা পাঠানো হয়েছে। এ বার ডাকযোগে উপভোক্তার বাড়িতেই কার্ড পৌঁছনোর ব্যবস্থা হয়েছে।”
মুনমুনের বাপের বাড়ি বাঁকুড়ার কোতলপুর গ্রামে। রাজহাটিতে বিয়ের পর ২০১৮ সালের শেষ দিকে সেখানে তাঁর রেশন কার্ডটি স্থানান্তরের আবেদন জানান খাদ্য দফতরে। ২০১৯ সালের জুন মাসের গোড়ায় খাদ্য দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট রেশন ডিলারের কাছ পাঠানো উপভোক্তাদের মাস্টার রোলে তাঁর নাম আসে বলে মুনমুনের দাবি। কিন্তু কার্ড হাতে পাননি। ওই মহিলা বলেন, ‘‘অনলাইনে দেখে জানাচ্ছে আমার রেশন কার্ড হয়ে গিয়েছে। সেই কার্ড পেতে গত জুন মাসের গোড়া থেকে ব্লক এবং মহকুমা খাদ্য দফতরে অন্তত বার কুড়ি ঘুরেছি। কার্ড মেলেনি। রেশনের মাল পাচ্ছি না। অন্যান্য ক্ষেত্রেও অসুবিধা হচ্ছে। অবিলম্বে যাতে রেশন কার্ড পাই সেই সুব্যবস্থার দাবি জানিয়েছি।”