মুখ্যমন্ত্রীর নামে অশালীন ‘পোস্ট’, গ্রেফতার সিঙ্গুরে

ধৃতকে বুধবার চন্দননগর আদালতে হাজির করানো হয়। তার আগে থানায় বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল এবং যুব তৃণমূল কর্মীরা। পুলিশের গাড়ি ঘিরেও বিক্ষোভ হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিঙ্গুর শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ০৫:৪৯
Share:

ফাইল চিত্র

ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে অশালীন ‘পোস্ট’ করার অভিযোগে সিঙ্গুর থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে বিশ্বেশ্বরবাটীর বাসিন্দা চন্দন ভট্টাচার্য নামে ওই যুবককে ধরা হয়। তিনি বিজেপি এবং আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।

Advertisement

ধৃতকে বুধবার চন্দননগর আদালতে হাজির করানো হয়। তার আগে থানায় বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল এবং যুব তৃণমূল কর্মীরা। পুলিশের গাড়ি ঘিরেও বিক্ষোভ হয়। তারকেশ্বর -বৈদ্যবাটি রোড মিনিট কুড়ি অবরোধও করা হয়। চন্দননগর আদালতের বিচারক চন্দনকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে যাওয়ার পথে চন্দন স্বীকার করেন, ‘‘পোস্ট করাটা ভুল হয়েছে। নেশাগ্রস্ত হয়ে পোস্ট করেছি।’’ সিঙ্গুরের বিজেপি নেতা মধুসূদন দাস অবশ্য বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য নিন্দনীয় ঘটনা। আমরা এটা সমর্থন করি না। চন্দন বিজেপি করে না। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।’’

ফেসবুকে চন্দনের ‘পোস্ট’ দেখে মঙ্গলবার জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে সিঙ্গুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার ভিত্তিতেই পুলিশ চন্দনকে ধরে। এলাকাবাসী এবং তৃণমূলের একাংশের দাবি, ধৃত চন্দন সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের আত্মীয়। রবীন্দ্রনাথবাবুর বাড়িও বিশ্বেশ্বরবাটীতে। ফলে, ফের একবার হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না এবং রবীন্দ্রনাথবাবুর গোষ্ঠী-কাজিয়া সামনে এসেছে।

Advertisement

থানায় বিক্ষোভকারারী হরিপালের বিধায়ক ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত। এ নিয়ে বেচারামবাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

তবে, বলরামবাটী অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি দুখিরাম দাসের দাবি, সম্পর্কে চন্দন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথবাবুর নাতি। রবীন্দ্রনাথ অবশ্য বলেন, ‘‘আমার বাড়ির মোট ১০ জন সদস্য। পাড়ার সকলকেই যদি আমার পরিবারের সদস্য হিসাবে গণ্য করা হয়, তা হলে তো মুশকিল। যে পোস্ট করা হয়েছে, তা অন্তত কুরুচিকর। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সে বিজেপি করে। আমি তৃণমূল বিধায়ক।’’ এই চাপান-উতোরে না ঢুকে জেলা তৃণণূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘ওই পোস্ট অত্যন্ত কুরুচিকর ব্যাপার। দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement