প্রতীকী ছবি।
গত দেড় মাসের মধ্যে বুধবারই প্রথম উলুবেড়িয়া পুর এলাকায় কারও করোনা সংক্রমণের খবর মিলল না।
একদিনের জন্যে হলেও সংক্রমণের ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ায় কিছুটা স্বস্তি পেলেন পুর কর্তৃপক্ষ। তার উপরে সংক্রমিতের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার দিনের ফারাক ক্রমশ বাড়তে থাকায় তাঁরা সামান্য হলেও আশার আলো দেখছেন।
পুরসভা সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহের সোমবার পাঁচ জন সংক্রমিত হয়েছিলেন। মঙ্গলবার এক জন। বুধবার কেউ সংক্রমিত হননি। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তারা মনে করছেন, বুধবারের ঘটনাটি হয়তো তেমন কিছু নয়। ফের হয়তো আজ, বৃহস্পতিবার সংক্রমণের ঘটনা ঘটবে। তবুও এটা কিছুটা স্বস্তিদায়ক। তাঁরা জানান, একটা সময়ে প্রতি দশ দিনে সংক্রমিতের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছিল। পরে সেই মেয়াদ বেড়ে দাঁড়ায় ১২ দিনে। সম্প্রতি তা আরও বেড়ে হয়েছে প্রায় ২০ দিন। তবে, এ বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত ভাবে কিছু বলার সময় আসেনি।
পুর কর্তৃপক্ষের কেউ কেউ দাবি করছেন, করোনা-ঝড় যে এই এলাকায় ক্রমে নিস্তেজ হচ্ছে এটা তারই প্রমাণ। পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অভয় দাস বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য— এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। সে জন্য যা করণীয় সেটা করা হবে।’’
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গত ২৭ এপ্রিল। ওই দিন স্টেশনের কাছে আরপিএফ ব্যারাকে এক জওয়ান সংক্রমিত হন। তবে ওই জওয়ান উলুবেড়িয়ার স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন না। পুর এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা প্রথম সংক্রমিত হন ১০ মে। তার পর থেকে দু’একদিন অন্তর সংক্রমণ ঘটতে থাকে। জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে প্রতিদিন সংক্রমণ ঘটে। এই ধারাবাহিকতাতেই ছেদ পড়ল বুধবার। মঙ্গলবার পর্যন্ত পুর এলাকায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৮২ জন। এর মধ্যে বর্তমানে ‘অ্যাক্টিভ পজ়িটিভ’ রোগী রয়েছেন ৪৭ জন।
পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, আংশিক এবং পূর্ণ সময়ের লকডাউনকে পুরোপুরি কার্যকর করা, পুলিশ, স্বাস্থ্য দফতর-সহ সব পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সংক্রমণ কমাতে নানা পন্থা খুঁজে বের করা, কোথাও কেউ সংক্রমিত হলে সেই এলাকা গণ্ডিবদ্ধ করে ফেলা এবং এলাকা জীবাণুমুক্ত করা— এইসব কাজ চলছে একটা নির্দিষ্ট ছন্দে। সব কাজের নিয়মিত পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ফাঁক দেখা গেলে তা পূরণ করা হচ্ছে। এ সব উদ্যোগ কার্যকর হচ্ছে বলেই মনে করছেন পুরকর্তারা।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)