Coronavirus Lockdown

নষ্ট পাঁচশোরও বেশি নার্সারি

ক্ষতিপূরণের আর্জি জানিয়ে সোমবারই বিডিও এবং বিধায়কের দ্বারস্থ হয়েছে বলাগড় নার্সারি অ্যাসোসিয়েশন।

Advertisement

সুশান্ত সরকার

বলাগড় শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২০ ০২:৪৩
Share:

আমপানের দাপটে এমনই দশা গাছের চারার। নিজস্ব চিত্র

লকডাউনে ব্যবসায় মন্দা চলছিলই। এক সপ্তাহ আগের আমপানে তছনছ হয়ে গিয়েছে বলাগড়ের পাঁচশোরও বেশি নার্সারি। মাথায় হাত পড়েছে ব্যবসায়ীদের। ঘুম উবেছে শ্রমিকদের।

Advertisement

হুগলির এ তল্লাটে সব মিলিয়ে ৪০০ বিঘারও বেশি আয়তন জুড়ে নার্সারিগুলি রয়েছে। এখন সবগুলিই কার্যত ধ্বংসস্তূপ। ঝড়ের দাপটে উড়ে গিয়েছে নার্সারির ছাউনি। লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে কয়েক লক্ষ চারা। তার মধ্যে ক’টি শেষ পর্যন্ত বাঁচবে জানেন না ব্যবসায়ীরা। তা ছাড়া, বৃষ্টির জল পড়ায় মরেও যাচ্ছে দেশি-বিদেশি বহু চারা। ভেঙে এবং উপড়ে গিয়েছে সেগুন, আম, লিচু-সহ কিছু বড় গাছও।

ক্ষতিপূরণের আর্জি জানিয়ে সোমবারই বিডিও এবং বিধায়কের দ্বারস্থ হয়েছে বলাগড় নার্সারি অ্যাসোসিয়েশন। অ্যাসোসিয়েশনে সভাপতি নবকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘ঝড়ে কয়েক কোটি টাকার দেশি-বিদেশি চারা নষ্ট হয়েছে। ব্যাঙ্কের ঋণ কী ভাবে শোধ করব, তাই ভাবছি। শ্রমিকদেরও মাইনে দিতে পারব না মনে হচ্ছে।’’ বলাগড়ের বিডিও সমিত সরকার বলেন, ‘‘নার্সারির ক্ষতির কথা জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গেই তা জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। আশা করছি কিছু সুরাহা হবে।’’

Advertisement

নার্সারিগুলিতে ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করেন। সারা বছর কাজ চলে। এখানকার চারা দেশের নানা প্রান্তে তো বটেই বিদেশেও পাঠানো হয়।

ব্যবসায়ীরা জানান, লকডাউন শুরুর ঠিক আগে বাংলাদেশে এক গাড়ি চারা বিক্রি করা হয়েছিল। তারপর থেকে সব বন্ধ হয়ে যায়। শ্রমিকেরাও এখনও কাজে যোগ দেননি। এরপরে আমপানের তাণ্ডবে সব শেষ। কয়েকশো বস্তা সারও নষ্ট হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement