—ফাইল চিত্র।
এক শহরে বন্ধ জুটমিল খোলার দাবি। আর এক শহরে হাসপাতাল।
রবিবার জোড়া কর্মসূচিতে হুগলিতেও ফের পাশাপাশি এল বাম-কংগ্রেস। আগামীতে এ ভাবে একসঙ্গে চলার বার্তাও দেওয়া হল।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর তুলে সম্প্রতি হুগলিতে মিছিল করেন বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান, সিপিএম বিধায়ক তথা পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী, ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়রা। সেই পথে হেঁটেই এ দিনের কর্মসূচি হল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, আন্দোলনের অভিমুখ আগামী বিধানসভা ভোট। নেতারা প্রকাশ্যে সে কথা না মানলেও ঠারেঠোরে স্বীকার করছেন।
এ দিন রিষড়ায় যৌথ কর্মসূচির মূল দাবি ছিল, বন্ধ সেবাসদন হাসপাতাল চালু করতে হবে। হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ চলে। অভিযোগ ওঠে, রিষড়া শহরে চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থাই নেই। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে সেবাসদনকে অকেজো করে রেখেছে। শহরের তৃণমূল নেতাদের স্বজনপোষণ, কাটমানি, নিকাশি সমস্যা প্রভৃতি অভিযোগও ওঠে।
শহরের কংগ্রেস নেতা সাবির আলি বলেন, ‘‘তৃণমূলের অপশাসন ঠেকাতে বামফ্রন্টের সঙ্গে যৌথ ভাবে আন্দোলন করব। আন্দোলনে ভোট তো প্রাসঙ্গিক হতেই পারে।’’
আন্দোলনের কথা শোনাচ্ছেন সিপিএম-সিপিআই নেতারাও। সিপিএমের রিষড়া এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুদীপ সাহা বলেন, ‘‘চিকিৎসার সুবিধা বন্ধ হওয়া-সহ এই শহরের সাধারণ মানুষ নানা ভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন তৃণমূলের হাতে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাঁরা বিশ্বাস করেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলাম। কংগ্রেস এগিয়ে এসেছে।’’ সিপিআই নেতা পার্থসারথি রেজের কথায়, ‘‘রিষড়ার সমস্যা তুলে ধরা এবং জোটের বার্তা দিতে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে বৃহত্তর পরিকল্পনা রয়েছে।’’
রিষড়ার পুর-প্রশাসক বিজয়সাগর মিশ্রের দাবি, সেবাসদন খোলার চেষ্টা করা হলেও আইনি জটিলতায় সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘শুধু সেবাসদন কেন, শহরের যে কোনও সমস্যা নিয়ে ওঁরা আমার সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন। কিন্তু ওঁরা এত দিন কোথায় ছিলেন?’’
চন্দননগরের বন্ধ গোন্দলপাড়া জুটমিল খোলার দাবিতে বিকেলে শহরের জ্যোতির মোড়ে বিক্ষোভ-সভা করে দু’পক্ষের শ্রমিক সংগঠন। পাশাপাশি শিক্ষানীতি, রেলকে বেসরকারিকরণের চেষ্টার প্রসঙ্গে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করা হয়। সিআইটিইউ-র জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হীরালাল সিংহ, আইএনটিইউসি নেতা মানস মুখোপাধ্যায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।