প্রতীকী ছবি।
নিজস্ব তহবিল মজবুত করে পঞ্চায়েতগুলি যাতে স্বাবলম্বী হয়, সে বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর থেকে। এই অবস্থায় আরামবাগের তিরোল পঞ্চায়েতের অনুমতি ছাড়াই নির্দিষ্ট ফি ‘ফাঁকি’ দিয়ে নতুন বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠল ওই পঞ্চায়েতেরই সদস্য তথা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডলের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার তিরোল গ্রামের বাসিন্দা ওই নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবেশীরা গণস্বাক্ষর সংবলিত অভিযোগ জানালেন পঞ্চায়েতে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এমনিতেই পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল নড়বড়ে। সামান্য পানীয় জলের কল সারাতেও সরকারি তহবিলের অপেক্ষায় থাকতে বলা হয়। তারপরেও লক্ষ্মীকান্ত পঞ্চায়েতের নিশ্চিত আয় আত্মসাৎ করছেন। বিষয়টি ব্লক প্রশাসনেরও নজরে আনা হয়েছে বলে তাঁরা জানান।
পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলেরই আব্দুস সুকুর বলেন, “গ্রামবাসীর অভিযোগ পেয়ে ওই নির্মাণ অবৈধ জানিয়ে কাজ বন্ধের নোটিস পাঠিয়েছি। এই অন্যায় মানা হবে না। নতুন বাড়ি নির্মাণ করতে হলে নকশা-সহ বৈধ কাগজপত্র দাখিল এবং যথাযথ ফি জমা করে অনুমতি নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে ওই সদস্যকে।” অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে।
লক্ষ্মীকান্ত অবশ্য শুক্রবার বলেন, ‘‘বাড়ি তৈরির কাগজপত্রে কিছু গোলমাল থাকায় তা সংশোধনের জন্য এ দিন পঞ্চায়েতে জমা দিয়েছি। সংশোধন হয়ে এলেই ফি এবং কাগজপত্র জমা করে দেব। আপাতত নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছি।’’
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতগুলি যাতে ধারাবাহিক ভাবে নিজস্ব সম্পদ এবং তহবিল বৃদ্ধি করতে পারে, সে ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর পঞ্চায়েতকে তার নিজস্ব তহবিলে ৪ শতাংশ আয় বাড়াতে হবে, এমন নির্দেশও রয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, পঞ্চায়েতের সংগৃহীত নিজস্ব তহবিলের অর্থের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে খরচ করতে হবে। পঞ্চায়েতগুলির কাছে নিজস্ব তহবিল সৃষ্টির ক্ষেত্রও অনেক। যেমন, ভূমি ও গৃহকর আদায়, পুকুর ইজারা দেওয়া, যানবাহন নিবন্ধীকরণ ফি, মোটরচালিত গভীর-অগভীর ও ছোট নলকূপের ব্যক্তিগত উদ্যোগের নিবন্ধীকরণ ফি ইত্যাদি।