তুবড়ির সঙ্গেই লুকিয়ে চুরিয়ে বিক্রি হয়েছে শব্দ বাজি। নিজস্ব চিত্র।
শব্দ-দানবের তাণ্ডব না হলেও বাজি পোড়ানোয় পুরোপুরি সংযম দেখাতে পারল না হগলিবাসী। চন্দননগর কমিশনারেট এলাকা হোক বা হুগলি গ্রামীন এলাকা সর্বত্র ছবিটা একই। সন্ধে নামরা পর শব্দ বাজি পুড়লো যথেচ্ছ ভাবে।
আদালতের নির্দেশ ছিল বাজি না পোড়ানোর। সেটা কার্যকর করা চ্যালেঞ্জ ছিল জেলা প্রশাসনকে। একই সঙ্গে সাধারণের কাছেও আতশবাজি ছাড়াই আলোর উৎসবে মেতে ওঠার চ্যালেঞ্জ ছিল। অনেকে সচেতন হলেও সবাই সংযম দেখাতে পারেননি। সন্ধের পর আকাশে উড়ল হাওউই, ফাটল চকলেট।
চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল, শ্রীরামপুর, হিন্দমোটর, উত্তরপাড়া থেকে ডানকুনি বাজি ফেটেছে সব জায়গায়তেই। তবে অন্যান্য বছরের থেকে অনেক কম। পুলিশ গত দু'দিন তল্লাশি চালিয়ে বহু বাজি উদ্ধার করেছে। তবে গোপনে বাজি বিক্রি পুরোপুরি ঠেকানো যায়নি। সেটাই দেখিয়ে দিল কালীপুজোর রাত। টি-২০ র মতো চালিয়ে না খেললেও টেস্ট ম্যাচ চলেছে।
হিন্দমোটরের বাসিন্দা অজিত দাস বলেন, আদালতের নির্দেশে বাজি বিক্রি বন্ধ হওয়ায় খোলা দোকানে বাজি পাওয়া যায়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে মাইক প্রচার করা হয়েছে। তবু সন্ধের পর থেকেই বাজি পুড়ল। ডানকুনি কালীপুরেও বাজি বাজার বসে। এ বার সে সব হয়নি। তবে বাজি বন্ধের নির্দেশ আসার আগেই বহু বাজি বিক্রি হয়ে যায়। এমনটাই বক্তব্য স্থানীয় বাসিন্দাদের।
আতশবাজি বিক্রি ও পোড়ানো বন্ধ করতে জেলায় পথে নামে কোভিড কেয়ার নেটওয়ার্ক নামে এক সংস্থা। সেই সংস্থার সদস্য গৌতম সরকার বলেন, "আমরা নির্ভর করেছিলাম মানুষের সচেতনার উপর। আদালতের কোনও রায়ই কার্যকর হয় না যদি অধিকাংশ মানুষ না মানে। এ ক্ষেত্রে প্রশাসন আরও কঠোর হলে কিছুটা সুরাহা হতে পারত।"