নিষেধাজ্ঞা বহাল যান চলাচলে

পরীক্ষায় ফেল ঈশ্বরগুপ্ত সেতু, ভোগান্তি আরও তিন মাস

স্বাস্থ্য পরীক্ষায় পাশ করতে পারল না ঈশ্বরগুপ্ত সেতু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁশবেড়িয়া শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৫৩
Share:

বেহাল: সেতুর উপরে ফাটল। ছবি: সুশান্ত সরকার

স্বাস্থ্য পরীক্ষায় পাশ করতে পারল না ঈশ্বরগুপ্ত সেতু।

Advertisement

প্রায় এক বছর ধরে ওই সেতু দিয়ে ভারী যান চলাচল বন্ধ। হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়ার সংযোজক এই সেতু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দু’পারের মানুষ। বিকল্প কোনও ব্যবস্থা না থাকায় অনেক ঘুরপথে মালবাহী গাড়ি যাচ্ছে। বন্ধ বড় স্কুলবাসও। তার ফলে পড়ুয়ারাও ঝুঁকি নিয়ে গঙ্গায় নৌকা পারাপারে বাধ্য হচ্ছে।

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই সেতুটি বন্ধ। চলছে মেরামতির কাজ। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি ওই সেতুতে ফাটল দেখা দেওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পূর্ত দফতর ওই সেতুটি মেরামতি কাজ শুরু করে। গত বছরের শেষে সেতুটি মেরামতির কাজ শেষ হয়। যান চলাচল শুরুও হয়। পূর্ত দফতর থেকে সেতুতে যান চলাচল নিয়ে কিছু সর্তকতাও জারি করা হয়। কিন্তু ওই সেতুতে যান চলাচল শুরুর কয়েক দিনের মাথায় ফের বিপর্যয় দেখা যায় চলতি বছরের গোড়ায়।

Advertisement

পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, নদিয়ার দিক থেকে বেশ কয়েকটি ট্রেলার পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে আসে বেশি রাতে হুগলির দিকে আসে। সেই সময় সেতুটি আবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফের ফাটল দেখা যায়। এরপর আবারও ওই সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুজোর আগে সেতুটির মেরামতির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে বলে নির্মাণকারী সংস্থা জানিয়ে দেয়। সর্তকতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এক বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে ওই সেতুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শুরু করে প্রশাসন। ঠিক হয় ওই সংস্থাই নির্দিষ্ট করে দেবে, ঠিক কত টনের ট্রাক ওই সেতুর উপর দিয়ে যেতে পারবে।

কিন্তু প্রশাসন সূত্রের খবর, সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা দীর্ঘদিন ধরে চলে। তাতেই দেখা যায়, সেতুর অন্য কয়েকটি অংশে ফাটল রয়েছে। যা বিপদের কারণ হতে পারে। এরপর আর ওই বিশেষজ্ঞ সংস্থা সেতুর উপর দিয়ে ভারী যান চলাচলে ছাড়পত্র দেয়নি। ওই সমস্ত ফাটল মেরামতির পরই ফের সেতুটি ব্যবহারের যোগ্য হবে বলে তারা রায় দেয়।

বাঁশবেড়িয়ার স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘বাচ্চাদের গৃহশিক্ষক থেকে শুরু করে নানা কাজে ওপারে যেতে হয়। এপারের স্কুলগুলিতেও নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার বহু ছাত্র পড়ে। বড় স্কুলবাস তো এখন সেতুর উপর দিয়ে যেতে পারে না। তাই বিপাকে পড়তে হয়েছে অনেককেই।’’

হুগলি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা আশা করেছিলাম, সেতু চালু করা যাবে সারানোর পরই। কিন্তু বিশেষজ্ঞ সংস্থা আমাদের ছাড়পত্র দেয়নি। তাঁরা সেতুর কোনও কোনও অংশে আরও মেরামত জরুরি বলে জানিয়েছেন। তাই ঝুঁকি নেওয়ার কোনও জায়গা নেই। মানুষের সমস্যা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু নিরাপত্তা স্বার্থে আরও অন্তত তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement