Bagnan

গোলাপে মড়ক, প্রেমদিবসে চিন্তায় চাষি 

কিন্তু রোগের কবলে পড়ে এখন বাগনানে প্রায় সব খেতেরই গোলাপের পাতা ঝরে, ডাল শুকিয়ে গাছ মারা যাচ্ছে। ওষুধ প্রয়োগেও লাভ হচ্ছে না বলে চাষিরা জানিয়েছেন। ফলে, ভ্যালেন্টাইন ডে’তে তাঁরা পর্যাপ্ত গোলাপ জোগান দিতে পারবেন না বলে আশঙ্কা করছেন। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাগনান শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২০ ০০:২৬
Share:

করুণ: ফুল নেই গাছে। নিজস্ব চিত্র

ভ্যালেনটাইন ডে আসছে। কিন্তু বাজারে পর্যাপ্ত গোলাপ মিলবে তো?

Advertisement

এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বাগনানে গোলাপ চাষে মড়ক লাগায়। রাজ্যের মধ্যে ফুল উৎপাদনে চতুর্থ স্থানে রয়েছে হাওড়া জেলা। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফুল চাষ হয় বাগনানে। সেই ফুলের মধ্যে গোলাপও রয়েছে। এখানকার গোলাপ জেলা ছাড়াও কলকাতা এবং পাশের জেলা হুগলিতেও যায়। কিন্তু রোগের কবলে পড়ে এখন বাগনানে প্রায় সব খেতেরই গোলাপের পাতা ঝরে, ডাল শুকিয়ে গাছ মারা যাচ্ছে। ওষুধ প্রয়োগেও লাভ হচ্ছে না বলে চাষিরা জানিয়েছেন। ফলে, ভ্যালেন্টাইন ডে’তে তাঁরা পর্যাপ্ত গোলাপ জোগান দিতে পারবেন না বলে আশঙ্কা করছেন।

জেলা উদ্যানপালন দফতরের এক পদস্থ কর্তা সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন। তিনি জানান, প্রচণ্ড ঠান্ডার ফলে গোলাপ গাছগুলি রোগের কবলে পড়েছে। তাঁরা চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
বাগনান-২ ব্লকের কামারদহ, ভুড়গেড়িয়া, বাঁকুড়দহ, হেলেদ্বীপ, কাঁটাপুকুর-সহ বহু গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায় ফুল চাষ হয়। এই মরসুমে কয়েক হাজার বিঘা জমিতে গোলাপের চারা রোপণ করা হয়েছে। ফুল পাওয়া যাচ্ছে অগ্রহায়ণ মাস থেকেই। ফু‌ল তোলা চলে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত। এর মধ্যেই আবার পুরনো চারা থেকে কলম পদ্ধতিতে নতুন চারা রোপণ করা হয়। সেই চারা থেকে ফুল পাওয়া যায় রোপন করার এক মাসের মধ্যেই। ভ্যালেনটাইন ডে’র দিনে হলুদ গোলাপের চাহিদা তুঙ্গে থাকে। সেই কারণে চাষিরা হলুদ গোলাপের চারা বেশি বসিয়েছেন। নিজেদের বিনিয়োগ তাঁরা ভ্যালেনটাইন ডে’তেই অনেকটা পুষিয়ে নেন। কিন্তু প্রায় শেষ মুহূর্তে বিপত্তি।

Advertisement

চাষিরা জানান, গত দশ দিন ধরে তাঁরা দেখছেন, গোলাপ গাছের পাতায় ছোট ছোট দাগ দেখা যাচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে পাতা ঝরে পড়ছে। ডালগুলিও শুকিয়ে যাচ্ছে। যে ফুলগুলি ফুটছে, সেগুলি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমনকি, কলম পদ্ধতিতে যে নতুন চারা রোপণ করা হচ্ছে সেগুলিও রোগের কবলে পড়েছে।
বাঁকুড়দহ গ্রামের লক্ষ্মীকান্ত ধাড়া প্রায় দু’বিঘা জমিতে গোলাপ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘পুরনো ও নতুন— দু’ধরনের গাছেই মড়ক লেগেছে। বেশিরভাগ গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। চাষের ক্ষতি কী ভাবে পূরণ করব বুঝতে পারছি না।বছর দশেক আগেও একবার এমন মড়ক লেগেছিল। তা হয়েছিল ফাল্গুন মাসে মরশুম শেষ হয়ে যাওয়ার সময়ে। ফলে আমাদের তেমন ক্ষতি হয়নি। কিন্তু এ বারে শুরুতেই আমরা ক্ষতির মুখে পড়লাম।’’ একই হাল আরও অনেকের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement