Rishra

কোভিড চিকিৎসায় প্রতি জ়োনে ডাক্তার

পুরসভা সূত্রের খবর, রিষড়ার মোট ২৩টি ওয়ার্ডে ৮টি জ়োনে ভাগ করা হয়েছে।

Advertisement

প্রকাশ পাল

রিষড়া শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২০ ০৫:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি

লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। আগামী কিছু দিন তা আরও বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এই পরিস্থিতিতে শহরে কোভিড চিকিৎসার প্রাথমিক পরিকাঠামো তৈরিতে জোর দিল রিষড়া পুরসভা।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, রিষড়ার মোট ২৩টি ওয়ার্ডে ৮টি জ়োনে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি জ়োনে এ শহরেরই বাসিন্দা এক জন করে চিকিৎসক থাকবেন। ওয়ার্ডপিছু একটি টাস্ক ফোর্সও থাকবে। তাতে করোনা-জয়ী নাগরিকদেরও রাখা হতে পারে। পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অসুস্থতার খোঁজ নেবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী শরীরে অক্সিজেন এবং সুগারের মাত্রা মেপে দেখবেন তাঁরা। অসুস্থ লোকজনের ব্যাপারে তাঁরা টাস্ক ফোর্সকে জানাবেন। প্রতিটি টাস্ক ফোর্স ওই বিষয়ে পুরসভার করোনা সংক্রান্ত নোডাল অফিসার অসিতাভ গঙ্গোপাধ্যায়ের গোচরে আনবে। প্রয়োজন বুঝে অসিতাভবাবু টেলিফোনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে চিকিৎসকের যোগাযোগ করিয়ে দেবেন। দরকার হলে চিকিৎসক সশরীরে গিয়ে রোগী দেখবেন। সেইমতো চিকিৎসা চলবে।

রবিবার পুর-প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান বিজয়সাগর মিশ্র এবং পুর আধিকারিকরা এ নিয়ে শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক-সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শ্রমজীবী হাসপাতালের সহ-সম্পাদক গৌতম সরকার। কী ভাবে রোগীদের পরিষেবা দিতে হবে, বিভিন্ন চিকিৎসা-সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে, সে ব্যাপারে রিষড়ার স্বাস্থ্যকর্মীদের ওই হাসপাতালের তরফে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে বৈঠকে ঠিক হয়েছে।

Advertisement

আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন পরিষেবা চালু করা সম্ভব হবে বলে পুর-প্রশাসন জানান। তিনি বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মানুষকে যদি পরিষেবা দেওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে বাড়িতে থেকেই অনেকে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। এ জন্য পুরকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেবেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শের ব্যবস্থা করা হবে। তার পরেও দরকার হলে হাসপাতালে পাঠানো হবে।’’

এর আগে বিভিন্ন ক্লাব-সংগঠনের সহযোগিতায় শহরে অক্সিজেন পার্লার তৈরি হয়েছে পুরসভার উদ্যোগে। হাসপাতালে পাঠানোর আগে রোগীকে প্রয়োজনে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে। এ বার কোভিড চিকিৎসায় আরও কয়েক কদম এগোতে চাইছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। এক পুরকর্তার বক্তব্য, ‘‘ধরেই নেওয়া হচ্ছে, করোনা সংক্রমণ বাড়বে। সে ক্ষেত্রে কোভিড হাসপাতালের উপরে যাতে চাপ না-পড়ে, সে জন্য স্থানীয় ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা জরুরি। এতে মানুষ উপকৃত হবে। হাসপাতালে যাওয়া নিয়ে মানসিক চাপ থাকলে, তা-ও দূর হবে। বাড়িতে কোভিড রোগীর চিকিৎসা হলে প্রস্তাবিত ব্যবস্থায় স্থানীয় ভাবেই তদারকি করা যাবে।’’

সম্প্রতি একটি মানবাধিকার সংগঠনের তরফে ওই শহরে কোভিড চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা প্রস্তাব দেওয়া হয় পুর-কর্তৃপক্ষকে। ওই সংগঠনের সদস্য সঞ্জীব আচার্য বলেন, ‘‘সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে পুরসভার এই উদ্যোগ ভাল। চিকিৎসকেরা নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। এতে চিকিৎসক না পাওয়া নিয়ে মানুষের আশঙ্কা দূর হবে।’’

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement