দুই ভূমিকায় দুই নেতা। বাঁ দিকে, পাণ্ডুয়ার ফুটবল ময়দানে সভা করছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। ডান দিকে, উলুবেড়িয়ায় পথে হাঁটলেন মহম্মদ সেলিম। শনিবার ছবি দু’টি তুলেছেন সুশান্ত সরকার ও সুব্রত জানা।
দলীয় প্রার্থীর হয়ে যাঁরা এজেন্ট হবেন, সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁদের বুথ আগলে বসে থাকার পরামর্শ দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। শনিবার বিকেলে পাণ্ডুয়ায় দলীয় প্রার্থী আমজাদ হোসেনের সমর্থনে সভা করেন সূর্যকান্তবাবু এবং কংগ্রেস নেতা মানস, ভুঁইয়া। পাণ্ডুয়া ফুটবল মাঠে ওই সভা হয়। ভিড়ে উপছে পড়ে মাঠ। ২০০১ সালে প্রবল মমতা হাওয়াতেও হুগলির এই কেন্দ্র ধরে রেখেছিল সিপিএম। এ বার কেন্দ্রটি ধরে রাখার লড়াইতে নেমেছে তারা। এ দিন ভিড়ের বহর দেখে দৃশ্যতই খুশি সূর্যকান্তবাবু। তিনি বলেন, ‘‘আপনারা ভয় পাবেন না। বামপন্থী এজেন্টরা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বুথে থাকবেন। প্রতিরোধের চেষ্টা করবেন।’’ তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম না করে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘‘বীরভূমের মোটা লোকটা মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। আর দিদিমনি তা সমর্থন করছেন।’’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে সূর্য্যকান্তবাবুর তোপ, ‘‘উনি বলছেন ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেবেন। আমরা বলছি ইঞ্চিতে নয়, সেন্টিমিটারে নয়, ফুটে নয়, আমরা মাইলে মাইলে বুঝে নেব। সরকার আমরাই গড়ব। ওঁর মিটিংয়ে লোক হচ্ছে না। তাই হেলিকপ্টারে ঘুরছেন। মানুষ হেলিকপ্টার দেখতে আসছেন।’’ মানসবাবু নাম না করে ‘মিথ্যাবাদী, এবং দাম্ভিক’ বলে মমতার সমালোচনা করেন। বিগত বামফ্রন্ট সরকারের ভূয়ষী প্রশংসাও শোনা যায় বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতার মুখে।