লোকসান কাটিয়ে লভ্যাংশ দিয়ে এলাকায় গুচ্ছ সেচের ব্যবস্থা করল পুরশুড়ার শ্যামপুর পঞ্চায়েতের একটি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি।
অনেক সমবায় যখন লভ্যাংশের টাকা অন্য নানা খাতে খরচ করে ফেলে তখন ওই ঘোলদিগরুই সমবায় কৃষি উন্নয়নের জন্য যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছেন সমবায় কর্তারা। ওই সমবায় সূত্রে জানানো হয়েছে, ন্যাওটা মৌজায় তিনটি মিনি ডিপ টিউবওয়েল বসানো হচ্ছে। তার মধ্যে দু’টির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। অন্যটিতে শুধু বিদ্যুদয়ন বাকি। ওই তিনটি থেকে অন্তত ২০০ বিঘা জমির সেচ নিশ্চিত হবে।
ব্লক সমবায় দফতরের সার্কেল ইনস্পেক্টর অমিতাভ মাইতি বলেন, “সমবায়টি অনাবশ্যক ব্যয় না করে সঞ্চিত লভ্যাংশ থেকে এলাকার কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়ন করছে।” বিডিও অনির্বাণ রায়ও বলেন, “আশা করি সমবায় সমিতিটির দৃষ্টান্ত সামনে রেখে অন্য সমবায়গুলিও ভাল কাজ করতে পারবে। সমবায়গুলি অনেক ক্ষেত্রে লভ্যাংশের অনেকটাই খরচ করে ফেলে তাদের নানা খাতে।’’
১৯৩১ সাল নাগাদ তৈরি হওয়া সমবায়টি আগে নানা প্রতিকূলতায় জর্জরিত ছিল। ধীরে ধীরে তারা তা কাটিয়ে ওঠে। সমবায়টি সূত্রে জানানো হয়েছে, সার মজুতের নিজস্ব গুদাম তৈরির জন্য ১২ কাঠা জমি কেনা হয়েছে এবং গ্রামে পানীয় জল সরবরাহের চেষ্টাও চলছে।
ওই সমবায়ের পরিচালন সমিতির কর্তা অনীশরঞ্জন মাজি বলেন, “বছরে সমবায়টির ১৭ লক্ষ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা লাভ হয়। আমরা কাজের পরিধি এবং পরিষেবা বাড়ানোয় বিশেষ মনোযোগ দিয়েছি। সারের গুদামটা হয়ে গেলে আর গুদামঘর ভাড়া নিতে হবে না। চাষিদের আরও কম দামে সার দিতে পারব।’’ এই উদ্যোগে সমবায়টির আওতায় থাকা এলাকার মানুষও খুশি। ন্যাওটা গ্রামের বিমল মালিক বা ঘোলদিগরুই গ্রামের সফিকুল ইসলামের কথায়, ‘‘কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য সমবায়টির অবদান অসীম। এখন আবার সেচহীন এলাকায় সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত হল।’’