চলছে কর্মী সম্মেলন। রবিবার হরিপালে। ছবি: দীপঙ্কর দে
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের ‘অসন্তোষ’ হুগলি জেলা তৃণমূলের অন্দরে!
দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশমতো হুগলিতে কোর কমিটির বৈঠক ডেকে শনিবার তাঁদের ‘ঐক্যবদ্ধ’ চেহারা তুলে ধরেছিলেন জেলা তৃণমূল নেতারা। অথচ, রবিবার হরিপালে দলের ব্লক সম্মেলনে দুই জেলা পরিষদ সদস্য গরহাজির রইলেন। শম্পা দাস এবং সমীরণ মিত্র নামে ওই দুই নেতানেত্রী সম্মেলনে আমন্ত্রণ পাননি বলে দাবি করেছেন। এ দিন সম্মেলন ডেকেছিলেন হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না। শম্পাদেবীর খেদ, ‘‘মহিলা তৃণমূলের ব্লক সভানেত্রী হয়েও সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেলাম না। আগেও কিছু কর্মসূচিতে আমাকে ডাকা হয়নি। সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে। বিধায়ক কি দলীয় অনুশাসনের উর্ধ্বে?’’ সমীরণবাবুর প্রশ্ন, ‘‘দলে ঐক্যের কথা বলা হচ্ছে। তা হলে ঐক্য কি শুধু নেতাদের মধ্যে জরুরি? আমার মতো কর্মীদের দরকার নেই?’’
দুই নেতানেত্রীই জানিয়েছেন, দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে তাঁরা আমন্ত্রণ না-পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। এ নিয়ে বিধায়ক বেচারামের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তিনি ফোন ধরেননি। হোয়াটস্অ্যাপেরও উত্তর দেননি। তবে, সম্মেলনে তিনি ঐক্যের কথাই বলেন। সম্মেলনে এসেছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই নেতানেত্রীর ডাক না-পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমার পক্ষে জানা সম্ভব নয়, কারা বাদ পড়লেন বা আমন্ত্রণ পেলেন না। তবে, কেউ যদি দলের জেলা সভাপতির কাছে অভিযোগ জানান, আমি দেখব। আমার প্রথম কাজ ঐক্যবদ্ধ ভাবে সবাইকে নিয়ে সংগঠন মজবুত করার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়া।’’
হরিপাল ব্লকে শাসকদলের অন্দরে আকচা-আকচি নতুন নয়। আমপানের পরে তা আরও স্পষ্ট হয়। বিধায়কের অনুগামী এক পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছ বিক্রিতে অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন শম্পা। এ জন্য তাঁকে দলের কর্মী-সমর্থকদের হাতে হেনস্থার শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ।
জেলা পরিষদের দুই নেতানেত্রী গরগাজির থাকলেও এ দিন মালিয়া বিশ্বনাথ সেবা সমিতিতে আয়োজিত ওই কর্মী সম্মেলন সাংসদ কল্যাণবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত, অসীমা পাত্র, বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, রচপাল সিংহ, মানস মজুমদার, দলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব প্রমুখ।