প্রতীকী ছবি
বুধবারের বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ে অসংখ্য গাছ উপড়ে যাওয়ায় ভারসাম্য হারাবে প্রকৃতি, এই আশঙ্কায় ওই সব গাছ কেটে না ফেলে পুনঃস্থাপিত করার দাবি উঠল হুগলিতে। জেলা প্রশাসনের হিসেব বলছে, হুগলিতে অন্তত ৭০ হাজার গাছ ভেঙে বা উপড়ে গিয়েছে। যদিও এই সব গাছ বাঁচানোর ব্যাপারে প্রশাসনের কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ছে না বলে অভিযোগ। পরিবেশকর্মীদের অভিযোগ, বহু ক্ষেত্রেই ভেঙে পড়া গাছ কেটে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছেন এক শ্রেণির লোক। অথচ সঠিক উদ্যোগ থাকলে অনেক গাছকেই ফের পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হত। তা না হওয়ায় প্রাকৃতিক ভারসাম্যের ক্ষেত্রে বিরাট প্রভাব পড়বে।
মানকুণ্ডুর একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের চৌহদ্দিতে বেশ কিছু গাছ পড়ে গিয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, তার মধ্যে মেহগনি, শিরীষ-সহ ১০টি দামি গাছ রয়েছে। কলেজের কর্ণধার বিজয় গুহমল্লিক বলেন, ‘‘কয়েকটি গাছ যে ভাবে উপড়েছে, তাতে আমার ধারণা এগুলি পুনঃস্থাপিত করা সম্ভব। কলকাতায় এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় গাছ সরানো হয়েছে বলে আমরা শুনেছি। বিদেশেও তো এই কাজ হয়। এটা হলে অত গাছ মারা পড়বে না। এই বিষয়ে আমরা পরিবেশবিদদের সঙ্গে কথা বলছি।’’
চন্দননগরের বাসিন্দা, পরিবেশকর্মী বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমপানে যে সংখ্যায় গাছ পড়েছে, তা চিন্তার বিষয়। এই ক্ষতি পূরণের জন্য প্রচুর গাছ লাগাতে হবে। পাশাপাশি যে সব গাছকে বাঁচানোর সম্ভাবনা রয়েছে, সেই দিকে জোর দিতে হবে। কলকাতায় প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে গাছ রক্ষা করার নজির রয়েছে। এটি খুব বেশি খরচ সাপেক্ষও নয়। পরিবেশকে বাঁচাতে এটুকু করা দরকার।’’ হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহবুব রহমান জানান, গাছ পুনঃস্থাপিত করার বিষয়টি বন দফতরের আওতাভুক্ত। তিনি বলেন, ‘‘এখন প্রযুক্তির মাধ্যমে গাছ বাঁচানো যায়। কিন্তু সেই সম্ভাবনা কতটা আছে, বন দফতরের বিশেষজ্ঞরাই তা বলতে পারবেন। তবে, বিষয়টি নিয়ে আমরাও ভাবনাচিন্তা করছি।’’ বন দফতরের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে অবশ্য জানা গিয়েছে, এমন পরিকল্পনা এখনই নেই।