—ফাইল চিত্র।
এক নার্সের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ হওয়ায় হাওড়া জেলা হাসপাতাল খোলার বিষয়টি ফের অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহে হাসপাতাল চালু করার কথা থাকলেও এখন তা আর সম্ভব হচ্ছে না। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস বলেন, ‘‘আগে থেকে কোয়রান্টিনে যাওয়া চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অনেকে চলতি মাসের ২৭-২৮ তারিখ নাগাদ ফের কাজে ফিরবেন। তখন হাসপাতাল খোলার কথা ভাবা হবে।’’
গত সপ্তাহে হাসপাতালটি সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঠিক হয়েছিল চলতি সপ্তাহেই হাসপাতালটির কয়েকটি বিভাগ চালু করা হবে। এ জন্য হাসপাতাল জীবাণুমুক্ত করার কাজও প্রায় শেষ হয়ে এসেছিল। কিন্তু ইতিমধ্যে হাসপাতালের এক নার্সের করোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে। এর পরেই হাসপাতালের ২৬ জন নার্সকে নতুন করে কোয়রান্টিনে যেতে হয়। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য, এখন আবার নতুন করে বিভিন্ন ওর্য়াডে জীবাণুমুক্ত করার কাজ চালাতে হবে। ফলে হাসপাতাল খোলা যাবে না।
এ দিন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, শনিবার পর্যন্ত জেলায় ‘সক্রিয়’ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৫৯। মোট সাত জন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন দু’জন। তবে যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁরা করোনার কারণেই মারা গিয়েছেন কি না, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, প্রতিদিন জেলা থেকে ৬০-৭০টি নমুনা পাঠানো
হচ্ছে পরীক্ষার জন্য। নমুনা পরীক্ষার এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১০০ বা তারও বেশি করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সাঁকরাইল, ডোমজুড়, ধূলাগড়ের মতো জেলার ‘হাই রিস্ক জ়োন’গুলিতে ফিভার ক্লিনিকের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।