তৎপরতা: উত্তরপাড়া পুরসভার উদ্যোগে শহরের প্রবেশপথেই থার্মাল পরীক্ষার ব্যবস্থা। ছবি: দীপঙ্কর দে
লকডাউন যথাযথ ভাবে কার্যকর করতে ‘হটস্পট’ হওড়া জেলার গ্রামীণ এলাকায় আরও কড়া হল জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ। জমায়েত দেখলেই সোমবার থেকে পুলিশ তাড়া করা শুরু করেছে। প্রয়োজনে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার জগৎবল্লভপুরে ১৮ এবং আমতায় ৭ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রামীণ জেলা পুলিশের প্রতিটি থানা এলাকাতেই ‘বেআইনি ভাবে’ দোকান খোলা বা জমায়েত দেখলে ধরে এনে মুচলেকা লেখাচ্ছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে মোটরবাইক।
কেন্দ্র গোটা হাওড়া জেলাকে ‘হটস্পট’ ঘোষণা করেছে। এই জেলায় করোনা সংক্রমণের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, শহর এলাকাকে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। গ্রামীণ এলাকাও যাতে করোনামুক্ত থাকে, সেই জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। লকডাউন অমান্য করলে কাউকে ছাড়া হবে না।
পাশের জেলা হুগলিতেও প্রশাসনিক ভাবে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সোমবার থেকে উত্তরপাড়া পুরভবন ফের চালু হল। ভবনে ঢোকার মুখে থার্মাল গেট বসানো হয়েছে। ফলে, কার্যালয়ে ঢোকার সময়েই কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়ে যাচ্ছে। এ দিন পুরসভা পরিচালিত মহামায়া হাসপাতালেও থার্মাল গেট বসেছে। পুর-কর্তৃপক্ষ জানান, পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন বাজারে ওই থার্মাল গেট বসানো হবে।
জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাওয়ের ঘোষণার পর থেকেই জেলায় ঢোকা এবং বের হওয়ার ক্ষেত্রে ‘লগবুক’ রাখা চালু হয়ে গিয়েছে। জেলা জুড়ে বিভিন্ন থানা এলাকাতেই ‘নাকা চেকিং’ চলছে। এ দিন বালিখালের কাছে হুগলিতে ঢোকার মুখে পুলিশ গাড়ি আটকে নির্দিষ্ট কারণ জানতে চায়। ঢোকা বা বেরোনোর কারণ ‘লগবুকে’ নথিভুক্ত করা হয়। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘ডিসি পদমর্যাদার অফিসারেরা রাস্তায় থাকছেন। গাড়ির ক্ষেত্রে পুলিশ কঠোর হবে। নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া কাউকে যেতে বা আসতে দেওয়া হবে না।’’
লকডাউনে বেশ কয়েক দিন বন্ধ থাকার পরে রবিবার রাত ১২টা থেকে ডানকুনি টোলপ্লাজ়ায় টোল নেওয়া শুরু হয়েছে। প্রায় দু’শো কর্মী এখানে তিনটি শিফ্টে কাজ করেন। বিফল ঘাঁটি নামে টোলপ্লাজ়ার এক কর্মী বলেন, ‘‘হাওড়া জেলাকে রেড জ়োন ঘোষণা করা হয়েছে।
এখান থেকে হাওড়া জেলার সীমানা মাত্র ২ কিলোমিটার। তাই কিছুটা আতঙ্কে আছি। চাকরি বাঁচাতে কাজে যোগ দিয়েছি।’’