Coronavirus

পিপিই মেলেনি, টিকাকরণ কর্মসূচিতে বাধা কর্মীদের

বুধবার থেকে গোঘাটে মায়েদের টিকাকরণ করার জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ ভট্টাচার্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২০ ০৬:৫২
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় প্রসূতি ও শিশুদের টিকাকরণ কর্মসূচি মাস দেড়েক বন্ধ থাকার পর ফের চালু করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু স্বাস্থ্য সুরক্ষার সরঞ্জাম পিপিই (পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট) ছাড়া সেই কাজ করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

Advertisement

বুধবার থেকে গোঘাটে মায়েদের টিকাকরণ করার জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ ভট্টাচার্য। স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ মঙ্গলবার সকালেই লিখিতভাবে জানিয়ে দেন, পিপিই ছাড়া এই ঝুঁকির কাজ তাঁরা করতে পারবেন না। শুভ ভট্টাচার্য বলেন, “সবাই কাজ করতে অস্বীকার করেননি। আমাদের পিপিই সরবরাহ নেই। মাস্ক এবং স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছি। আশা করি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি বন্ধ হবে না।’’

টিকাকরণ কর্মসূচি চালাতে পিপিই-র দাবি শুধু গোঘাটেই নয়, আরামবাগ, খানাকুল, পুরশুড়া, তারকেশ্বর সহ গোটা জেলাতেই আছে। টিকাকরণে আপত্তি তোলা গোঘাটের এক স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, “শিশুদের পোলিও, যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, হাম ইত্যাদির জন্য টিকাকরণ অত্যন্ত জরুরি। আমরাও চাইছি শিবির করতে। কিন্তু খালি মাস্ক পড়ে এই কর্মসূচি করলে দুপক্ষেরই ঝুঁকি থাকছে।” একই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন জেলার বিভিন্ন ব্লকের স্বাস্থ্যকর্মীরা।

Advertisement

জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকশুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, “জেলার কিছু জায়গায় টিকাকরণ শুরুহয়েছে। নির্দিষ্ট দিন অনুযায়ী সর্বত্রই শুরু হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।’’

গত ৩০ মার্চ রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর থেকে নির্দেশিকা জারি করে টিকাকরণ কর্মসূচি বন্ধ রাখা হয়। ফের ৬ মে নতুন নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হয়, করোনা প্রাদুর্ভাবের সময়েও এই জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবা চলবে। সংক্রমিত, অসংক্রমিত এলাকা অনুযায়ী শিবিরের সংখ্যা বাড়িয়ে শিবিরে উপভোক্তা কম রাখতে হবে। বজায় রাখতে হবে শারীরিক দূরত্ব, হাত ধোয়া ইত্যাদি নিয়মকানুন।

সদ্যোজাতর জন্মের সময় স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে পোলিও এবং যক্ষ্মা রোগের জন্য বিসিজি টিকা হওয়ার পর দেড় মাস বয়স থেকে ফের রুটিন টিকাকরণ শুরু হয়। ওই দেড় মাস থেকে ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত যে সব গুরুত্বপূর্ণ টিকা দেওয়া হয় সেগুলির মধ্যে আছে পেন্টাব্যালেন্ট টিকা। এই টিকায় যেসব সংক্রমণ আটকানো যায় সেগুলি ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, হিমোফাইলাস বি ইনফ্লুঞ্জা এবং হেপাটাইটিস বি। শিশুর ৬ সপ্তাহ বা দেড়মাসে দেওয়া হয় পোলিও এবং পেন্টা ১ ডোজ, হেপাটাইটিস বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুঞ্জার টিকা। ১০ সপ্তাহ বা আড়াই মাসে ফের পোলিও, পেন্টা, হেপাটাইটিস বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুঞ্জার টিকা। আছে রোটা ভাইরাস, হাম-রুবেলার মত অতি গুরুত্বপূর্ণ টিকাকরণও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement