— প্রতীকী চিত্র।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জঙ্গি-প্রশিক্ষক সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়াকে যাবতীয় অভিযোগ থেকে অব্যাহতির বিষয়টি বিবেচনা করছে— এই সংবাদ প্রকাশ্যে আসার পর আশঙ্কিত ভারত। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বিষয়টি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এক সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসার এই মেজর জিয়া, আল কায়দার শাখা আনসার আল-ইসলামের নেতা হিসেবে পরিচিতি পান। তাঁর নাম জড়ায় ২০১১ সালে বাংলাদেশে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান এবং হিন্দু ব্লগার অভিজিৎ রায়ের নৃশংস হত্যার সঙ্গে। তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল শেখ হাসিনা সরকার। ১৪ বছর ধরে পলাতক এই জিয়াউল হক ইউনূস সরকারের আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে সম্প্রতি আবেদন করেছেন, হাসিনা জমানায় তাঁকে যে দণ্ড দেওয়া হয়েছিল তা মকুব করা হোক। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার জন্য আমেরিকার বিদেশ দফতরকেও চিঠি দিয়েছেন তিনি।
নয়াদিল্লির অভিযোগ, মেজর জিয়া ঢাকায় ভারতীয় কূটনীতিকদের হত্যার ষড়যন্ত্রেও জড়িত ছিলেন। যা তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার ও ভারতীয় গোয়েন্দাদের যৌথ প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছিল। উপরন্তু, তিনি আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য রুট-সহ ভারত-বাংলাদেশ পরিকাঠামো প্রকল্পগুলিকে ধ্বংসে বারবার চেষ্টা করেছেন বলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর। গোয়েন্দা সূত্রের মতে, এ হেন মেজর জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার যে কথা সামনে আসছে, তার আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া হবে এবং হচ্ছেও। পর্যবেক্ষকদের আশঙ্কা, এটি দেশের সন্ত্রাস-বিরোধী প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে দিতে পারে এবং উগ্র গোষ্ঠীগুলির দখলদারি বাড়তে পারে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার মতে, এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বড় বিপদের জন্ম দিতে পারে গোটা অঞ্চলের জন্যই।