প্রতীকী ছবি।
রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছিল, ১৬ এপ্রিলের পর থেকে বিভিন্ন জেলার যে সব শ্রমিক কর্মসূত্রে লকডাউনের জেরে অন্য জেলায় আটকে পড়েছেন তাঁরা ধীরে ধীরে নিজেদের জেলায় ফিরতে পারবেন। এর জন্য রাজ্য সরকার গাড়ির ব্যবস্থাও করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু হাওড়া জেলাকে ‘স্পর্শকাতর’ ঘোষণার পর সেই পরিকল্পনা আপাতত ভণ্ডুল।
কেন এই পরিস্থিতি?
জেলা প্রশাসন সুত্রের খবর, এই জেলায় অন্য জেলার যে সব শ্রমিক রয়েছেন, সেই জেলা থেকে প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশই ওই শ্রমিকদের আপাতত ফেরাতে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজের জেলায় পাঠানার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
জেলার ১৪ টি ব্লকেই আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকরা রয়েছেন। কিছু ক্ষেত্রে কারখানা মালিক আবার কোথাও ব্লক প্রশাসনের তরফে ওই সব শ্রমিকদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৬ এপ্রিলের পর প্রথম দফায় আমতা এবং পাঁচলা থেকে প্রায় ৫০০ শ্রমিককে বিভিন্ন জেলায় ফেরত পাঠানো হয়। প্রস্তুতি নেওয়া হয় অন্য ব্লকের পক্ষ থেকেও। কিন্তু হাওড়া জেলাকে ‘স্পর্শকাতর’ ঘোষণা করায় যাঁদের পাঠানো হয়েছিল অধিকাংশকেই নিজেদের গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কয়েকটি জেলায় তাদের আটকে দেয় জেলা প্রশাসন। অনেককে গ্রামের মানুষ ঢুকতে দেননি। এই সব পরিযায়ী শ্রমিককে রাখা হয়েছে নিভৃতবাসে।
শনিবার ফের কয়েকশো পরিযায়ী শ্রমিককে নিজের জেলায় ফেরত পাঠানোর জন্য বাসের ব্যবস্থা করেছিল বিভিন্ন ব্লক প্রশাসন। কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিকদের জেলা থেকে এই সব ব্লক প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হয় এখন যেন কাউকে ফেরত না পাঠানো হয়। এরপরেই শনিবারের কর্মসূচি বাতিল করা হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, হাওড়া ‘স্পর্শকাতর’ অবস্থা থেকে বেরিয়ে না আসা অবধি আর কোনও পরিযায়ী শ্রমিককে ফেরত পাঠানো হবে না. জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান।