Coronavirus

অ্যাকাউন্ট বন্ধ, হাতও খালি অভাবী দম্পতির

নিয়মের গেরোয় ব্যাঙ্ক থেকে ওই টাকা তুলতে পারছেন না চন্দননগরের অনন্তপুরের বাসিন্দা অনিল বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী শ্যামলী।

Advertisement

তাপস ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২০ ০৪:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

স্ত্রী পরিচারিকার কাজ করেন। স্বামী রিকশা চালান। লকডাউনে দু’জনেরই কাজ বন্ধ। ঘরে জমানো টাকা শেষ। ব্যাঙ্কে ৬৭ হাজার টাকা আছে। কিন্তু তা যেন থেকেও নেই!

Advertisement

নিয়মের গেরোয় ব্যাঙ্ক থেকে ওই টাকা তুলতে পারছেন না চন্দননগরের অনন্তপুরের বাসিন্দা অনিল বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী শ্যামলী। নথিপত্র নিয়ে ব্যাঙ্কের দরজায় ঘুরছেন তাঁরা। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, অনেক দিন লেনদেন না-হওয়ায় অ্যাকাউন্টটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাতেই সমস্যা।

চন্দননগরের খলিসানির একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে শ্যামলীর সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেখানেই টাকা জমিয়েছেন তাঁরা। বিপদের দিনে সেই টাকায় সংসার চালানোর জন্য কয়েকদিন আগে শ্যামলী ব্যাঙ্কে যান। কিন্তু খালি হাতে ফিরতে হয়। শ্যামলীর কথায়, ‘‘অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে ব্যাঙ্কের লোকেরা নতুন করে নথিপত্র জমা দিতে বলেন। না হলে টাকা তুলতে পারব না, এটাও জানানো হয়। কিন্তু একই সঙ্গে ব্যাঙ্ক থেকে বলা হয়, লকডাউনের জন্য ওঁদের কর্মী নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ওই কাজ হবে না।’’

Advertisement

এ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ওই দম্পতি। অসময়েই যদি কাজে না লাগে, তা হলে টাকা জমিয়ে লাভ কী? মঙ্গলবার তাঁরা ব্যাঙ্কে নতুন করে নথিপত্র জমা দিয়েছেন। অনিল বলেন, ‘‘কাগজপত্র তো জমা দিলাম। তাতেও ব্যাঙ্ক বলছে টাকা পেতে কয়েক দিন লাগবে। কবে টাকা তুলতে পারব, স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে না।’’ শ্যামলীর কথায়, ‘‘যা দেখছি, ব্যাঙ্কে টাকা জমা থাকতেও না খেয়ে মরতে হবে!’’

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে টেলিফোনে ব্যাঙ্কের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন লেনদেন না হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী ওই অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। লকডাউনের জেরে অনেক কম কর্মী নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। মহিলার নথিপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই যাতে অ্যাকাউন্টটি চালু হয়, সেই চেষ্টা চলছে।’’

দ্রুত সমস্যা সমাধানের আর্জি জানিয়ে এক প্রতিবেশীর সাহায্য নিয়ে ওই ব্যাঙ্কের রিজিওনাল ম্যানেজারকে চিঠি পাঠিয়েছেন দম্পতি। লিখিত ভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে চন্দননগরের মহকুমাশাসকের দফতরেও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement