প্রতীকী ছবি।
করোনা-রেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। পুজোর পরে সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য দফতর। এই পরিস্থিতিতে হুগলি জেলায় করোনা-চিকিৎসার পরিকাঠামো আরও মজবুত করতে চায় জেলা স্বাস্থ্য দফতর। বাড়ছে কোভিড হাসপাতাল। শয্যাও বাড়ছে।
শনিবার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আগামী দিনে করোনা সংক্রমণ বাড়ার একটা আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। তার উপর দুর্গোৎসব রয়েছে। এই আবহে করোনা সংক্রমণের হার বাড়লে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার লক্ষ্যে সিঙ্গুরের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ১০০ শয্যার কোভিড হাসপাতাল তৈরি করছি। আর জেলার সরকারি হাসপাতালগুলিতে শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ পুজোর সময় রাস্তায় মানুষের ঢল নামলে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা থাকবে বলে চিকিৎসকেরা মনে করছেন। কেরলের ঘটনার উল্লেখ করে রাজ্যবাসীকে এ নিয়ে বারবার সতর্ক করছেন তাঁরা। কিন্তু সেই সতর্কবার্তা রাজ্যবাসী কতটা মেনে চলবেন, তা নিয়ে সন্দিহান চিকিৎসকদের একাংশ। সেই কারণে সংক্রমণ বাড়বে ধরে নিয়ে আগেভাগেই চিকিৎসা পরিকাঠামো মজবুত করতে চাইছে জেলা প্রশাসন।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা হাসপাতালগুলির শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। বর্তমানে হুগলিতে চারটি কোভিড হাসপাতাল রয়েছে। এ ছাড়া গোঘাটের ভিকদাস, ডানকুনি এবং হিন্দমোটরে কোয়রান্টিন সেন্টারও তৈরি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। দফতরের পদস্থ এক কর্তার দাবি, ‘‘প্রয়োজনে ওই কোয়রান্টিন সেন্টারগুলিতেও করোনা রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। তবে আপাতত হাসপাতালগুলির শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ প্রশ্ন উঠেছে, নতুন কোভিড হাসপাতাল তৈরি হলে বা শয্যা সংখ্যা বাড়লে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসক মিলবে কোথা থেকে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, আশাকর্মী এবং হাসপাতাল কর্মীদের একাংশকে ইতিমধ্যেই কোভিড চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি রাখা হয়েছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘চিকিৎসক পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হলে স্থানীয় চিকিৎসকদের তালিকা তৈরি করব। তারপর তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানো যেতে পারে।’’