অশোক সরকার।
দু’বছর আগে তাঁর কাছে হার মেনেছিল কিডনির অসুখ। এ বার তিনি হারালেন করোনাকে।
কিডনি প্রতিস্থাপন হওয়ার পরে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫৩ বছরের এক প্রৌঢ়। তিন সপ্তাহ নিভৃতবাসে থেকে করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন উলুবেড়িয়ার ফুলেশ্বরের বাসিন্দা অশোক সরকার।
অশোকবাবুর পরিবার সূত্রে খবর, বছর দুয়েক আগে তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছিল। তারপর প্রায় ছ’মাস আইসোলেশনে ছিলেন। মাস খানেক আগে করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো নিভৃতবাসে চিকিৎসা চলে তাঁর। গত সোমবার তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
অশোক উলুবেড়িয়া পুরসভার কর্মী। গত ১৬ অক্টোবর জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। একদিন পরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। চার দিন পরে ফের জ্বর আসে তাঁর। চিকিৎসকদের পরামর্শে ২১ অক্টোবর করোনা পরীক্ষা করান। পরের দিন অশোকবাবুর করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। চিকিৎসকেরা তাঁকে নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দেন। দু’সপ্তাহ পরে পরীক্ষা করেন। কিন্তু সেবারও তাঁর করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। ফলে জারি থাকে নিভৃতবাস। সম্প্রতি ফের তাঁর করোনা পরীক্ষা হয় অশোকবাবুর। গত সোমবার সেই পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। দেখা যায়, করোনা থেকে সেরে উঠেছেন তিনি।
অশোকবাবু বলেন, ‘‘করোনা রোগীদের প্রথমেই উচিত মনকে শক্ত করা। তারপর চিকিৎসকদের পরামর্শ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা।’’ তাঁর কথায়, ‘‘করোনা রোগীরা সচেতন না-হলে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে। তাই দেশকে এই মহামারি থেকে বাঁচাতে হলে সকলের আগে করোনা রোগীদের সচেতন হতে হবে।’’ তিনি জানান, চিকিৎসকেরা ঠিক যে ভাবে চলার পরামর্শ দিয়েছিলেন, তিনি সেই ভাবেই চলেছেন। তাতেই করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। ফুলেশ্বরের একটি কোভিড হাসপাতালের ডিরেক্টর চিকিৎসক শুভাশিস মিত্র বলেন, ‘‘প্রতিষেধক না-আসা পর্যন্ত করোনাকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। অশোকবাবু চিকিৎসকদের কথা মেনে চলেছিলেন বলেই করোনাকে জয় করতে পরেছেন। রিপোর্ট পজ়িটিভ দেখে নিজেই নিভৃতবাসে চলে গিয়েছিলেন তিনি। সর্বদা চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলেছেন।’’
অশোকবাবু করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে তাঁর পরিবারের ১১ জন সদস্যের করোনা পরীক্ষা হয়। সোমবার তাঁদের সকলের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।