বেহুঁশ: সামাজিক দূরত্বের বিধি উড়িয়ে পাশাপাশি বসে মোবাইলে চোখ। বালাই নেই মাস্কেরও। শুক্রবার, হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন একটি বাজারে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
করোনা-সংক্রমণ রুখতে এ বার হাওড়ার বস্তিগুলির উপরে দিন-রাত নজরদারি চালানোর জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের নির্দেশ দিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার হাওড়া পুরসভায় এসে জেলা প্রশাসন, জেলা স্বাস্থ্য দফতর, পুরসভা ও পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করেন পুরমন্ত্রী। পরে ফিরহাদ জানান, হাওড়ায় এখনও পর্যন্ত করোনা-সংক্রমণ মারাত্মক আকার নেয়নি। তা যাতে না নেয়, সেটা দেখাই পুরসভার কাছে চ্যালেঞ্জ। এর জন্য বস্তিগুলির উপরে নজরদারি বাড়াতে হবে। কারও জ্বর বা করোনার অন্য উপসর্গ দেখা দিচ্ছে কি না, তা নজরে রাখতে হবে স্বেচ্ছাসেবকদের।
এ দিন দুপুরে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব সুব্রত গুপ্তকে নিয়ে পুরসভায় আসেন ফিরহাদ। তিনি সেখানে হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য, পুলিশ কমিশনার কুণাল আগরওয়াল, পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস-সহ জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
দীর্ঘ বৈঠকের পরে পুরমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যের মধ্যে হাওড়া ও কলকাতায় যে হেতু জনঘনত্ব বেশি, তাই এই দুই জায়গায় সতর্কতামূলক সমস্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। নতুন করে যাতে কোনও এলাকায় সংক্রমণ ছড়াতে না-পারে, সে জন্য সরকারের তরফে মাইক্রো-প্ল্যানিং করা হয়েছে। কলকাতায় যে ভাবে লকডাউনে কড়াকড়ি করা হচ্ছে, তেমনই হাওড়ার যে সব জায়গায় করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বেশি সেখানেও সামগ্রিক ভাবে লকডাউন করা হচ্ছে।’’
হাওড়ার চওড়া বস্তি এবং টিকিয়াপাড়া বস্তিতে যে হেতু করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে, তাই ওই দু’টি বস্তিতে নজরদারি জোরদার করা প্রয়োজন বলে মনে করেন পুরমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘বস্তিগুলিতে সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। তাই স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে সেখানে কারও জ্বর হচ্ছে কি না, তা নজরে রাখবে পুরসভা।’’ এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে এ বার করোনার র্যাপিড টেস্ট হবে। কবে থেকে তা হবে, সেটা ঠিক করবে স্বাস্থ্য দফতর।
এ দিকে রাজ্য সরকার করোনা নিয়ে তথ্য গোপন করছে বলে বিরোধীরা যে অভিযোগ করছেন, সেই প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘‘বিরোধীরা সারা দিন কাজ না-করে শুধু ঘরে বসে সমালোচনা করছেন। এই রোগের ক্ষেত্রে তথ্য গোপনের কী দরকার আছে? দিল্লি-মুম্বইয়ের থেকে কলকাতা ও হাওড়ার অবস্থা অনেক ভাল।’’ এ দিন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, হাওড়া জেলা হাসপাতাল জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে। আগামী সপ্তাহেই কয়েকটি বিভাগ চালু করে সেটি খুলে দেওয়া হবে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)