ছবি সংগৃহীত।
উলুবেড়িয়া ইএসআই হাসপাতালে আইসোলেশন কেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত ঘিরে বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই হাসপাতালের অন্তর্বিভাগে প্রায় ৫০ জন রোগী ভর্তি আছেন। তাঁরা সবাই শ্রমিক পরিবারের সদস্য। বুধবার সকালে হাসপাতালের পক্ষ থেকে রোগীদের ছুটি দেওয়া হয়। তারপরই ক্ষোভ দেখান রোগীর পরিজনরা।
তাঁদের মধ্যে কয়েকজন জানান, কোন হাসপাতালে ওই রোগীদের ভর্তি করানো হবে, সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। তাঁদের অভিযোগ, বিষয়টি তাঁরা হাসপাতালের সুপারকে জানালেও কোনও সমাধান হয়নি।
শুধু তাই নয়, এ দিনের পর থেকে আউটডোরে পরিষেবা আর দেওয়া হবে না বলে রোগীদের জানিয়ে দেওয়া হয়। রোগীদের অভিযোগ, এই হাসপাতাল থেকে তাঁরা বিনামূল্যে যে সব পরিষেবা পান, তা হাসপাতাল বন্ধ থাকলে চলবে কী করে?
প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলা স্বাস্থ্য দফতর পরিদর্শন করে দেখেছে, যাঁরা এখানে ভর্তি ছিলেন তাঁদের বেশিরভাগই ছুটি পাওয়ার অবস্থায় ছিলেন। তাই তাঁদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। যদি কোনও রোগীকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে ভর্তি রাখার দরকার হয় তাহলে তাঁদের উলুবেড়িয়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হবে। যতদিন পর্যন্ত ইএসআই হাসপাতালে আইসােলেশন ওয়ার্ড থাকবে ততদিন পর্যন্ত উলুবেড়িয়া হাসপাতালেই ওই ইএসআই-এর শ্রমিক পরিবারগুলির চিকিৎসা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
এদিকে হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় ১৬ টি কোয়রান্টিন কেন্দ্র ও ২ টি আইসোলেশন কেন্দ্র গড়া হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। কোয়রান্টিন কেন্দ্রগুলি হয়েছে ব্লক ভিত্তিক। মূলত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এগুলি গড়া হয়েছে।
আইসোলেশন কেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত হয়েছে উলুবেড়িয়া ইএসআই হাসপাতাল এবং ফুলেশ্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।