জখম: হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মহম্মদ রাজা। নিজস্ব চিত্র
বিশ্বকাপের ফ্রান্স-উরুগুয়ে ম্যাচ নিয়ে বচসার জেরে চন্দননগরের এক যুবকের পেটে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তাঁর পড়শির বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে কলুপুকুরের ষষ্ঠীপুরের বাসিন্দা মহম্মদ রাজা নামে আহত ওই যুবককে চন্দননগর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শনিবার সকালে অভিযুক্ত নাসির খানকে পুলিশ গ্রেফতার করে। আহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে এলাকার একটি চালাঘরে টিভি বসিয়ে বিশ্বকাপ দেখার আয়োজন করেছিলেন কলুপুকুরের কিছু যুবক। বছর ছাব্বিশের রাজাও সেখানে যান। উপস্থিত ছিল লাগোয়া পঞ্চাননতলার বাসিন্দা নাসিরও। উরুগুয়ের বিরুদ্ধে ফ্রান্স জেতার পরে সকলে আনন্দে মেতে ওঠেন। মদের আসর বসে। নাসির মদ খেয়ে তর্ক জুড়ে দেয়। গালিগালাজও করে বলে অভিযোগ। সকলে তাকে বারণ করেন। রাজা তাকে ওই ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে অনুরোধ করেন। তাতে রাজার উপর নাসিরের ক্ষোভ জন্মায়। নাসির অবশ্য বেরিয়ে যায়। ভিড়ও পাতলা হয়ে যায়।
এর পরে রাতে ব্রাজিল-বেলজিয়াম ম্যাচ দেখতে ফের সকলে ওই ঘরে জড়ো হন। রাজা ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। নাসির সেখানে পৌঁছে একটি ছুরি দিয়ে রাজার পেটে কোপ মারে বলে অভিযোগ। রাজা মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই চম্পট দেয় নাসির। গোঙানির আওয়াজে ওই ঘরের লোকজন বেরিয়ে এসে রাজাকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁর পেটে আটটি সেলাই পড়েছে। শনিবার হাসপাতালে তিনি বলেন, ‘‘নাসির মদ খেয়ে খেলা নিয়ে তর্ক জুড়ে দেয়। গালিগালাজও করতে থাকে। প্রতিবাদ করাতেই ও আমাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করল। ক্লাবের অন্যেরা না-থাকলে হয়তো প্রাণে মেরে ফেলত!’’ প্রায় একই বক্তব্য ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শেখ সামা নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার।
নাসিরের কঠিন শাস্তি দাবি করেছেন রাজার মা ফিরোজা বিবি। তিনি বলেন, ‘‘বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে ছেলেটা দিনমজুরের কাজ করে। আমি বাজারে কলা বিক্রি করে কোনওমতে সংসার চালাই। সামান্য খেলা নিয়ে বচসায় কেউ এ ভাবে
ছুরি চালায়!’’