তোলাবাজিতে অভিযুক্ত কাউন্সিলর, পুরপ্রধানের দাবি ভুল বোঝাবুঝির

তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করলেন এলাকার মানুষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:২১
Share:

সাইকেল দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে রাস্তা। ছবি: মোহন দাস।

তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করলেন এলাকার মানুষ।

Advertisement

রবিবার সকালে আরামবাগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওই ঘটনায় অভিযুক্ত কাউন্সিলরের নাম সুজিত গঙ্গোপাধ্যায়। ওয়ার্ডের পুরাতন বাজারের সব্জি এবং মাছ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, “এমনিতেই নগদ টাকার জোগানের অভাবে ব্যবসা মার খাচ্ছে। তার উপর এখানকার কাউন্সিলর নানা অজুহাতে টাকার জুলুম করছেন। না পেলেই মারধর করছেন।’’ এর প্রতিবাদে এদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। বন্ধ রাখা হয় খুচরো এবং পাইকারি ব্যবসা। সকাল ১০টা নাগাদ আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবোরধ ওঠে। চালু হয় বাজার।

পুরপ্রধান বলেন, ‘‘কাউন্সিলর এবং ব্যবসায়ীদের একসঙ্গে বসিয়ে সোমবার কথা বলা হবে। কাউন্সিলার সুজিতবাবু এমন লোক নন। কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে।’’ অভিযুক্ত কাউন্সিলরের দাবি, ‘‘শহরের ঐতিহ্যবাহী পুরাতন বাজারটিকে পরিচ্ছন্ন এবং বাজার সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটিকে যানজট মুক্ত করতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। এতেই ক্ষেপে গিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ীরা।’’

Advertisement

সদরঘাটে শতাব্দী প্রাচীন বাজারটি ‘পুরাতন বাজার’ নামেই পরিচিত। সব্জি, মাছ ইত্যাদি পাইকারি এবং খুচরো মিলিয়ে ৩৩০টি ব্যবসা চলে। বাজারের গা দিয়ে গিয়েছে পিসি সেন রোড। যেটি শহরে গৌরহাটি মোড় থেকে থানা, মুখ্য ডাকঘর, মহকুমা শাসকের অফিস সহ বিভিন্ন সরকারি দফতর ছুঁয়ে বাসস্ট্যান্ডে যোগ হয়েছে। শহরের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি রাস্তাটি যানজট মুক্ত রাখার। কিন্তু বাজারে আসা সব্জি বা মাছের গাড়ি ও ক্রেতাদের গাড়ির ভিড়ে পথ চলাই দায়। যদিও বাজারের সব্জি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক শ্রীমন্ত পাত্রর অভিযোগ, “রাস্তা যানজট মুক্ত রাখতেই বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা সব্জি বা মাছের গাড়ি রাতে আনার ব্যবস্থা হয়েছে। রাত দেড়টা-দুটো নাগাদ মাল এলে মুটিয়াদের মাল নামিয়ে বাজারেই থাকতে হয়। কিন্তু কাউন্সিলার এই নিয়ে আপত্তি তুলে মারধর করেছেন শনিবার রাতে। এছাড়াও তিনি এবং তাঁর লোকজন কখনও পুজোর চাঁদা, কখনও আবার পচা মাছ সরবরাহ হচ্ছে ইত্যাদি ধুয়ো তুলে তোলা আদায় করছেন।’’ তিনি জানান, পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে বারবার লিখিত অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই এই পদক্ষেপ করতে হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement