Arambagh

আরামবাগ-বর্ধমান রুটে বাস চলাচল বন্ধে দুর্ভোগ

ওই রুটের বাস-মালিক সংগঠনের সম্পাদক শান্তনু গুপ্ত জানান, এ ক’দিন যে হেতু ১০টি বাস চলছিল, সেই মতোই সময়সূচি করা হয়েছিল।

Advertisement

পীযূষ নন্দী

আরামবাগ শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২০ ০৪:৫৯
Share:

প্রতীকী ছবি

এমনিতেই ২৫টি বাসের মধ্যে ১০টি চলছিল। এ বার সময়সূচি নিয়ে বাস-শ্রমিকদের মধ্যে অশান্তিতে রবিবার আরামবাগ-বর্ধমান (৪২ কিলোমিটার) রুটে বাসই চলল না। আগাম নোটিস ছাড়াই বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিস্তর ভোগান্তি হল যাত্রীদের। ক্ষোভ-বিক্ষোভের জেরে বাস-মালিক সংগঠন দুপুরে থেকে খান দুয়েক বাস চালায়। তাতে সমস্যা পুরো মেটেনি।

Advertisement

ওই রুটের বাস-মালিক সংগঠনের সম্পাদক শান্তনু গুপ্ত জানান, এ ক’দিন যে হেতু ১০টি বাস চলছিল, সেই মতোই সময়সূচি করা হয়েছিল। শনিবার আরও দু’তিনটি বাস পথে নামে। এত দিন যাঁরা নির্দিষ্ট সময় মেনে চালাচ্ছিলেন, তাঁদের যাত্রী পাওয়া এবং সময় নিয়ে অসুবিধা হয়। তাতেই শ্রমিকদের মধ্যে অশান্তি হয়। শান্তনু অবশ্য বলেন, ‘‘বাস-মালিক সংগঠনে পক্ষে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে আজ, সোমবার থেকে সব বাসই চলবে। আগের সময়সূচি মতোই।”

ছুটির দিন হওয়ায়ও রবিবার অফিসযাত্রীদের ভিড় ছিল না। আরামবাগ শহর থেকে বর্ধামনের শেয়ারা বাজার পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার পথের আওতায় শ’খানেক গ্রাম পড়ে। ওই সব গ্রামের অনেক মানুষের রুটিরুজির জায়গা আরামবাগ শহর। কেউ দোকানে কাজ করেন, কেউ বা দোকান-মালিক। অনেক ট্রাক-চালক, বাস-চালক ও বাসকর্মীদের বাড়ি ওই ২৭ কিলোমিটারের মধ্যেই। তাঁরা বিপাকে পড়েন।

Advertisement

বর্ধমানের উচালন গ্রামের রামপদ দে আরামবাগের একটি বাসনের দোকানে কাজ করেন। বাস বন্ধের জন্য এ দিন তিনি বেরোতে পারেননি। তাঁর কথায়, ‘‘বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। ভাড়াগাড়িতে যাওয়ার ক্ষমতা নেই। দোকান-মালিক বিরক্ত হয়ে ফোন করেছেন। কোনও নোটিস ছাড়া এ রকম আচমকা বাস বন্ধ হলে কাজটা না হারাতে হয়!” আরামবাগ শহরে দীর্ঘদিন ধরে মনিহারি দোকান চালান পাঁইঠার সুদেব রায়। তাঁর খেদ, ‘‘এমনিতে দু’মাসের উপর ব্যবসা বন্ধ ছিল। এখন যদিবা খুলল, বাসের এই অনিশ্চয়তায় ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement