আলোচনা: ভদ্রেশ্বর পুরভবনে বৈঠক। নিজস্ব চিত্র
যে কোনও সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে এ বার চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে উদ্যোগী হল প্রশাসন। এ জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে ভদ্রেশ্বর পুরভবনে ওই পুজো নিয়ে প্রস্তুতি-বৈঠক হয়। সেখানে স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের প্রস্তাব দেন। পুলিশ-প্রশাসন, পুরসভা, বিদ্যুৎ দফতর, দমকল, পূর্ত দফতর-সহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের আধিকারিকদের গ্রুপে শামিল করার সিদ্ধান্ত হয়। তাতে কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পূজা কমিটির কর্তারা এবং মন্ত্রী নিজেও থাকবেন।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘চন্দননগর এবং ভদ্রেশ্বর থানা এলাকা জুড়ে পুজো হয়। পাঁচ দিনে প্রায় পনেরো লক্ষ মানুষের সমাগম হবে। এই সময়ে নানা সমস্যা হতে পারে। তা মেটাতে বিভিন্ন দফতরের সমন্বয় দরকার। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থাকলে সংশ্লিষ্ট সবাই দ্রুত সমস্যা সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন। সেই মতো চটজলদি সমাধান করা যাবে।’’ মন্ত্রী ছাড়াও পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর, মহকুমাশাসক (চন্দননগর) মৌমিতা সাহা, চন্দননগরের পুর-কমিশনার স্বপন কুণ্ডু, ভদ্রেশ্বরের পুরপ্রধান প্রলয় চক্রবর্তী, চাঁপদানির পুরপ্রধান সুরেশ মিশ্র বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। রেল এবং প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিকরাও এসেছিলেন।
প্রশাসন সূত্রের খবর, বৈঠকে পুলিশের তরফে পাঁচটি নির্দিষ্ট মণ্ডপের কথা উল্লেখ করে জানানো হয়, সেগুলি রাস্তা আটকে হয়। তাতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ-সহ নানা সমস্যা হতে পারে। রাস্তা ছেড়ে মণ্ডপ করা যায় কিনা, তা দেখার কথা বলা হয়। একটি পুজোর ক্ষেত্রে পুকুরে বাঁশের সাঁকো দিয়ে দর্শনার্থীদের হেঁটে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ওই সেতু যাতে শালবল্লা দিয়ে পোক্ত করে তৈরি করা হয়, সে ব্যাপারেও আলোকপাত করা হয়।
বৈঠকের পরে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘শহরের চৌহদ্দি বা রাস্তাঘাট বাড়েনি। কিন্তু জনসংখ্যা বাড়ছে। তাই সুষ্ঠু ভাবে যাতে সব কিছু চলে, সে জন্য চলে আসা কিছু ব্যবস্থার পরিবর্তন করা দরকার।’’ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি নিমাইচন্দ্র দাস বলেন, ‘‘যে ছ’টি মণ্ডপের কথা বলা হয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলব।’’
এ দিনের বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তা দফতরের লোকজনও ছিলেন। পুলিশের তরফে তাঁদের বলা হয়, মরা মুরগি, পচা-বাসি বা অস্বাস্থ্যকর খাবার যাতে বিক্রি না হয়, সে জন্য তাঁরা যেন খাবারের দোকান বা হোটেল-রেস্তরাঁয় নজর রাখেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈব শৌচাগারের ব্যবস্থা রাখা নিয়েও আলোচনা হয়। পুলিস কমিশনার বলেন, ‘‘নিরাপত্তা বাড়ানো, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য-সহ নানা বিষয়ে কমিশনারেটের তরফে রেল প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’’ নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে এ দিন বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ, তার আশপাশের পথ এবং স্টেশন সংলগ্ন রাস্তাঘাটও ঘুরে দেখেন ওই পুলিশকর্তা।