কোভিড কেয়ার নেটওয়ার্কের বাজির বিরুদ্ধে প্রচার অভিযান। শনিবার।
সব ধরনের আতশবাজি পোড়ানোতেও এ বার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে শনিবার থেকেই প্রচার অভিযান শুরু হয়ে গেল হুগলিতে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং গণ-সংগঠন এই কাজে এগিয়ে এসেছে।
‘কোভিড কেয়ার নেটওয়ার্ক’-এর আয়োজনে সকাল থেকে জেলার মোট ১৬টি এলাকায় প্রচার চলে। সাড়ে আটটায় ব্যান্ডেল বাজারে মাইকে প্রচার, পোস্টার সাঁটানো এবং লিফলেট বিলি দিয়ে প্রচার শুরু করেন ওই সংগঠনের সদস্যেরা। চুঁচুড়া, চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর পলতাঘাট, শ্রীরামপুর বটতলা, রিষড়া হয়ে বিকেলে উত্তরপাড়ার গৌরী সিনেমার মোড়ে প্রচার শেষ হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক গৌতম সরকার বলেন, ‘‘করোনার কারণে এ বার পরিস্থিতি ভিন্ন। বাজি পুড়লে বাতাসে অক্সিজেনেরে মাত্রা কমবে। বাজির বিষ-বাতাস করোনা রোগীদের পক্ষে প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। সেই বিপদ থেকেই আমরা মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি।’’
কোন্নগর পুরসভা এবং ‘যুক্তিমন কলা ও বিজ্ঞান কেন্দ্র’-এর যৌথ উদ্যোগে শনিবার থেকে দু’দিনের প্রচার কর্মসূচি শুরু হয়। এই দু’দিনে কোন্নগরের মোট দশটি জায়গায় প্রচার চলবে বলে জানিয়েছেন পুরপ্রশাসক বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায়। উত্তরপাড়ার বিভিন্ন গণ-সংগঠন ও নাট্যসংস্থাও নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সংগঠনগুলির পক্ষে সুভাষ দেব বলেন, ‘‘পথসভা, লিফলেট বিলি করে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করব। ১০ নভেম্বর উত্তরপাড়া থানায় স্মারকলিপি দেব। পাশাপাশি, সরকারের কাছে আবেদন করব, বাজির কাজে মূলত প্রান্তিক মানুষ যুক্ত। তাই বাজির উৎস বন্ধ করতে হলে তাঁদের বিকল্প রোজগারের ব্যবস্থা করতে হবে।’’
উত্তরপাড়ার ‘স্ব-চেতনা’ নামে একটি সংস্থা মাকালতলা এলাকাকে ‘বাজি-বর্জিত’ জায়গা হিসেবে প্রচারের কাজ শুরু করেছে। এখানেই সংস্তার কার্যালয়। ওই সংস্থার সদস্য অনুপ দত্ত, টুটুন সিংহরায়েরা জানান, মাকালতলা ছাড়াও লাগোয়া মানিকপির, পলাশ সরণি-সহ কিছু এলাকায় লিফলেট বিলি করা হচ্ছে। ওই সংস্থার পক্ষে পরিবেশকর্মী শশাঙ্ক কর বলেন, ‘‘আমরা চাইছি উত্তরপাড়ার এইসব এলাকায় যদি এ বার পুরোপুরি বাজি পোড়ানো বন্ধ থাকে, সেটা মানুষের কাছে বড় বার্তা হবে।’’