প্রতীকী ছবি।
একটি নামী বেসরকারি ঋণদানকারী সংস্থার কাছ থেকে ব্যবসার জন্য ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন ছিল উত্তরপাড়ার এক ব্যবসায়ীর। সে জন্য অনলাইনে দ্বারস্থ হয়েছিলেন একটি ওয়েবসাইটের। জানতেন না ওয়েবসাইটটি ভুয়ো। সেখানে তাঁকে খোয়াতে হল ৬০ হাজার টাকারও বেশি।
প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে ওই ব্যবসায়ী উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। চন্দননগর কমিশনারেটের সাইবার সেল তদন্ত শুরু করেছে। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে মানুষকে ঠকানোর চক্র অনেক ক্ষেত্রেই সক্রিয়। মানুষকে বারবার সতর্ক করছি। ঋণের প্রয়োজনে সরাসরি সংশ্লিষ্ট অফিসে গিয়ে কথা বলা জরুরি।’’
সাইবার সেলের এক অফিসার বলেন, ‘‘বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভিন্ রাজ্য থেকে ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে মানুষকে প্রতারণা করা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি ওই চক্রে জড়িতদের গ্রেফতার করতে।’’
বিজন দাস নামে ওই ব্যবসায়ী জানান, ওয়েবসাইটটির পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তাদের কথামতো ঋণদাতা সংস্থার জন্য ওই ওয়েবসাইটে তিনি যাবতীয় নথিপত্র পাঠিয়ে দেন। ঋণ অনুমোদনের কাগজপত্রও মেলে। এরপরে ঋণের ‘প্রসেসিং ফি’, বিমা, জিএসটি— এমন নানা কারণ দেখিয়ে তাঁর থেকে ৬০ হাজার টাকারও বেশি অনলাইনে নিয়ে নেওয়া হয় বলে বিজনবাবুর অভিযোগ।
ওই ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে কোনও সন্দেহ হয়নি। তবে ১৫ জানুয়ারি নির্দিষ্ট সময়ের পরও আমার অ্যাকাউন্টে ঋণের টাকা না ঢোকায়, আমি বুঝে যাই প্রতারিত হয়েছি।’’