ফাইল চিত্র
চলতি মাসের মাঝামাঝি হাওড়ার মঙ্গলাহাট ফের চালু করে দেওয়ার কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে কোভিড নিয়ে গঠিত জেলা প্রশাসনের বিশেষ টাস্ক ফোর্স। বলা হয়েছে, এর জন্য বিকল্প জায়গা খুঁজছে প্রশাসন। কারণ, অতিমারির পরিস্থিতিতে কোনও ভাবেই প্রশাসনিক এলাকায় ওই হাট বসতে দেওয়া যাবে না। সব রকম সুরক্ষা-বিধি মেনে পুজোর আগেই যাতে বিকল্প জায়গায় হাট চালু করা যায়, তার জন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শীঘ্রই আলোচনায় বসার কথা প্রশাসনের। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলাহাট না-সরানোর দাবি তুলে সরাসরি আন্দোলনে নামলেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার বঙ্কিম সেতুর নীচে হাওড়া পুরসভার সামনে একটি বিক্ষোভ-সভার আয়োজন করে হাওড়া হাট ব্যবসায়ী সমিতি। সেখানে জড়ো হন কয়েকশো ব্যবসায়ী। সমিতির তরফে একাধিক দাবি সংবলিত স্মারকলিপি পাঠানো হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। ওই স্মারকলিপিতে ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, যত দিন না হাট বসছে, তত দিন ফুটপাতে বসা ওই হাটের প্রায় ২০ হাজার খুচরো ব্যবসায়ীকে প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে ভাতা দিতে হবে। তাঁদের আরও বক্তব্য, এই হাটের সঙ্গে লক্ষাধিক মানুষের রুজি জড়িত। তাই কোনও ভাবেই হাট সরানো চলবে না এবং কোভিড-বিধি মেনে যত দ্রুত সম্ভব বাজার চালু করতে হবে।
হাওড়া হাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুভাষ দত্ত ব্যবসায়ীদের সরানোর বিরোধিতা করে বলেন, ‘‘সুরক্ষা-বিধি মেনে অবিলম্বে একশো বছরের পুরনো এই হাট বসতে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি, এই হাটকে ভবিষ্যতে সফল বাণিজ্যক্ষেত্র হিসেবে তুলে ধরতে একটি বহুতল মার্কেট কমপ্লেক্সও গড়ে তুলতে হবে।’’ তিনি জানান, ফুটপাত এবং পুরনো ভাঙাচোরা বাড়িগুলি থেকে হাট সরিয়ে নিয়ে যেতে বাম আমলে একটি বহুতল তৈরি হয়েছিল। সেটাই এখন রাজ্য সরকারের প্রধান প্রশাসনিক ভবন ‘নবান্ন’। সুভাষবাবুর বক্তব্য, তারই বিকল্প হিসেবে রাজ্য সরকার হাট অধিগ্রহণ করে সেখানকার আট বিঘা জমিতে বহুতল মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করলে ফুটপাতে বসা হকারেরা-সহ সব পক্ষই উপকৃত হবেন। কিন্তু রাজ্য সরকার তা না-করে হাট সরানোর কথা ভাবছে।