ট্রেকারের দৌরাত্ম্য এবং বেআইনি ভাবে যাত্রী পরিবহণের অভিযোগ তুলে শনিবার খানাকুলের গণেশপুর এবং তারকেশ্বরের মধ্যে ১৬/২০ রুটে বাস চালানো বন্ধ রাখা হয়েছিল। ভোগান্তি হয়েছিল সাধারণ মানুষের। রবিবারেও সেই ভোগান্তি কমল না। কেননা, এ দিনও ওই রুটে কোনও বাস চলেনি। সমস্যা সমাধানে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীরা। সমস্যা মেটানোর জন্য তাঁরা খানাকুলের বিধায়ক ইকবাল আহমেদের শরণাপন্ন হয়েছেন।
বিধায়ক জানান, আজ, সোমবার বাস-মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা হবে। মহকুমাশাসক (আরামবাগ) প্রতুলকুমার বসু বলেন, ‘‘গত ২৯ অগস্ট দু’পক্ষকে নিয়ে একদফা বৈঠক হয়েছিল। নতুন পরিস্থিতি জেলাশাসককে জানানো হয়েছে।’’
ট্রেকার-চালকদের বিরুদ্ধে দৌরাত্ম্যের অভিযোগ তুলে ১৬/২০ রুটের বাস চলাচল বন্ধ ছিল ২০ দিনেরও বেশি। বাস-মালিকদের অভিযোগ, ট্রেকারগুলি পারমিটের শর্ত না মেনে সমস্ত স্টপ থেকে যাত্রী তুলছে। ১৩টি আসনে ১৩ জনকে নেওয়ার বদলে বেশি যাত্রী তুলছে। ফলে, বাসে যাত্রী হচ্ছে না। লোকসান হচ্ছে। পক্ষান্তরে, ট্রেকার-মালিক সংগঠনের অভিযোগ, বাসগুলির পারমিট আছে তারকেশ্বর থেকে পুড়শুড়ার দিগরুইঘাট পর্যন্ত। কিন্তু দিগরুইঘাটে সেতু হয়ে যাওয়ায় বাসগুলি সরাসরি গণেশপুর পর্যন্ত যাচ্ছে। বাসগুলিকেও পারমিট অনুযায়ী চালাতে হবে বলে তাঁদের দাবি।
গত ২৯ অগস্ট মহকুমাশাসকের ডাকা বৈঠকে দু’পক্ষকেই পারমিটের শর্ত অনুযায়ী গাড়ি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরে ট্রেকার-চালকদের বিরুদ্ধে বাসের চালক-কর্মীদের মারধরের অভিযোগ তুলে রবিবার বাস চালানো বন্ধ থাকে। যদিও অভিযোগ মানেননি ট্রেকার-চালকেরা। ওই রুটের বাস কর্মচারী সংগঠনের কর্তা জগন্নাথ বটব্যাল বলেন, ‘‘পুরো রাস্তাটির পারমিট হাতে না পেলে গাড়ি চালাব না।’’