টুকরো খবর

হাওড়ায় বিকল্প ভাগাড়ের কাজ কতদূর এগিয়েছে এবং তা কী অবস্থায় রয়েছে, আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সে বিষয়ে আদালতে হলফনামা দিয়ে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হল হাওড়ার জেলাশাসক ও পুরসভাকে। পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের করা একটি মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর ও অরিজিত্‌ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৪ ০১:২৩
Share:

ভাগাড় নিয়ে হাওড়াকে হলফনামা দিতে নির্দেশ

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

হাওড়ায় বিকল্প ভাগাড়ের কাজ কতদূর এগিয়েছে এবং তা কী অবস্থায় রয়েছে, আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সে বিষয়ে আদালতে হলফনামা দিয়ে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হল হাওড়ার জেলাশাসক ও পুরসভাকে। পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের করা একটি মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর ও অরিজিত্‌ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০০৩ সালে সুভাষবাবু বেলগাছিয়া ভাগাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে আদালতে অভিযোগ করে জানান, ওই ভাগাড়ে ১৪০ বিঘা জমি থাকলেও মাত্র ২৯ শতাংশ জায়গায় জঞ্জাল ফেলা হয়। বাকি জায়গা বেদখল হয়ে পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া, ওই ২৯ শতাংশে আর জঞ্জাল ফেলার জায়গা নেই। তা জঞ্জালের পাহাড় হয়ে উঠেছে। যে কোনও সময়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই অবিলম্বে বিকল্প ভাগাড়ের প্রয়োজন রয়েছে। এই মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের তরফে ডেকে পাঠানো হয় হাওড়ার জেলাশাসক ও পুরসভার কমিশনারকে এবং অবিলম্বে ভাগাড়ের জন্য বিকল্প জায়গা নির্দিষ্ট করে তা জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশ পেয়ে গত বছর ১১ মে হাওড়ার জেলাশাসক ও পুর-কমিশনার দু’জনই আদালতে হাজির হয়ে জানান, ভাগাড়ের জন্য দু’টি মৌজা পাওয়া গিয়েছে। সেখানে ভাগাড় করলে কোনও প্রতিবন্ধকতা হবে না। এই রিপোর্ট দেওয়ার পরে কেটে গিয়েছে এক বছরেরও বেশি সময়। কিন্তু বিকল্প ভাগাড়ের পরিস্থিতি কী, তার কোনও রিপোর্ট আদালতকে জানায়নি পুরসভা। তাই সুভাষবাবু এ দিন প্রসঙ্গটি তুলে আদালতের হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করলে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে হলফনামা দিয়ে বিকল্প ভাগাড়ের কাজের অগ্রগতির রিপোর্ট জানানোর নির্দেশ দেয় আদালত।

Advertisement

বেহাল রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে বিক্ষোভ, পথ অবরোধ

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

দীর্ঘ দিন রাস্তা না সারানোর প্রতিবাদে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন বাসিন্দারা। কিন্তু দিনের ব্যস্ত সময়ে সেই অবরোধ সমর্থন করেননি যানজটে আটকে থাকা বাসযাত্রীরা। অবরোধকারীদের সঙ্গে তাঁদের বচসা শুরু হয়। অবরোধকারীরা নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরতে না চাওয়ায় এক সময় তাঁদের সঙ্গে একাংশ বাসযাত্রীর হাতাহাতি লেগে যাওয়ার উপক্রম হয়। শেষে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বেলুড়ের গিরিশ ঘোষ রোডে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কেএমডিএ-এর জলের পাইপলাইন বসানো ও সিইএসসি-র কাজের জন্য প্রায় এক বছর ধরে বেলুড় থেকে হাওড়া যাওয়ার এই রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। খানাখন্দে ভর্তি রাস্তায় প্রতি মুহূর্তে ঘটছিল দুর্ঘটনাও। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বার বার বলা সত্ত্বেও পুরসভার রাস্তা সারাতে উদ্যোগী হয়নি। এরই প্রতিবাদে এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ প্রায় এক ঘণ্টা গিরিশ ঘোষ রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। অফিস টাইমে যানজটে ফেঁসে যাওয়ায় বাসযাত্রীরা নিজেরাই নেমে পড়েন অবরোধ সরাতে। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে অবরোধকারীদের প্রায় হাতাহাতি লেগে যায়। পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনতে ঘটনাস্থলে আসে বালি ট্রাফিক এবং বেলুড় থানার পুলিশ। আসেন বালি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সিপিএমের বিকাশ বসু। পরে বিকাশবাবু আশ্বাস দেন খুব শীঘ্রই ওই রাস্তা সারানোর কাজ শুরু হবে। এর পরেই অবরোধ উঠে যায়।

বিজেপি-র আইন-অমান্য

নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ

বৃহস্পতিবার দুপুরে আরামবাগ মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে আইনঅমান্য কর্মসূচি পালন করল বিজেপি। প্রায় হাজার খানেক দলীয় নেতা-কর্মীর একাংশ পুলিশের বেষ্টনী ভেঙে জোর করে মহকুমা শাসকের দফতরে ঢুকতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধ্বস্তাধস্তি হয়। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট শান্তিরাম গড়াইয়ের নির্দেশে ২০০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাঁদের ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিজেপি-র আরামবাগ জেলা সভাপতি অসিত কুণ্ডু বলেন, “তৃণমূলের সন্ত্রাস, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি-সহ আমাদের নানা অভিযোগ নিয়ে প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ না করাতেই এ দিনের আইনঅমান্য।

ইন্দিরা-স্মরণ

নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর

ইন্দিরা গাঁধীর ৯৮ তম জন্মদিবস পালন করল শ্রীরামপুরের মাহেশ কংগ্রেস কমিটি। এই উপলক্ষে বুধবার বোসপাড়ায় এক অনুষ্ঠান হয়। উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্র, আব্দুল মান্নান, আমজাদ আলি প্রমুখ।

সালকিয়ায় বেআইনি দোকান ভাঙল পুরসভা

যানজট সমস্যা মেটাতে সালকিয়ায় রাস্তার এক দিক দখল করে থাকা দোকান ভেঙে দিল হাওড়া পুরসভা ও পুলিশ। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত চৌরাস্তা থেকে বাঁধাঘাটে চলে এই উচ্ছেদ-পর্ব। পুলিশ ও পুরসভা সূত্রে খবর, দীর্ঘ দিন ধরে বেআইনি ভাবে গড়ে উঠেছিল দোকানগুলি। পুরসভার তরফে দোকানমালিকদের বহু বার বেআইনি অংশ ভেঙে ফেলতে বলা হলেও তাঁরা শোনেননি বলে অভিযোগ। হাওড়া পুরসভার মেয়র পারিষদ তথা উত্তর হাওড়া তৃণমূলের সভাপতি গৌতম চৌধুরী বলেন, “কয়েক জন ব্যবসায়ীর সুবিধার্থে পাঁচ লক্ষ মানুষের অসুবিধা হতে দিতে পারি না। তাই এই সিদ্ধান্ত।” হাওড়া পুর-এলাকার আরও কিছু ওয়ার্ডে বেআইনি দখলদার সরাতে অভিযান চালানো হবে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।

বেআইনি, তবু লেন ভেঙেই চলছে যানবাহন।
বৃহস্পতিবার উলুবেড়িয়ায় মুম্বই রোডে সুব্রত জানার ছবি।

বেহাল নিকাশি। আরামবাগে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement