টুকরো খবর

সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিল তৃণমূল। ১০০ দিনের কাজে সরকারি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত হুগলির পাণ্ডুয়া ব্লকের বেলুন-ধামাসিন পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:৫৬
Share:

পাণ্ডুয়ার পঞ্চায়েতে দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা • পাণ্ডুয়া

সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিল তৃণমূল। ১০০ দিনের কাজে সরকারি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত হুগলির পাণ্ডুয়া ব্লকের বেলুন-ধামাসিন পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। লিখিত অভিযোগ পেয়ে পঞ্চায়েতের খাতাপত্র বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যান ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। বিডিও নবনীপা সেনগুপ্ত বলেন, “নথিপত্র ঘেঁটে দেখে সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।” তৃণমূলের অভিযোগ, পুকুর কাটার নামে ওই পঞ্চায়েতে বেশ কয়েক লক্ষ টাকার দুর্নীতি হয়েছে। কেবলমাত্র পাড় কেটে পুকুর কাটার হিসেব দাখিল করা হয়েছে। বিডিওর হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ থামে। বিডিও এবং মহকুমাশাসকের (সদর) কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়। তৃণমূলের পাণ্ডুয়া ব্লক সভাপতি আনিসুল ইসলাম বলেন, “নির্দিষ্ট প্রমানের ভিত্তিতেই প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। ওরা মানুষের টাকা নয়ছয় করেছে।” সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান নবনীতা বাউল দাস বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ।” তাঁর বক্তব্য, “একটি পুকুর কাটার জন্য ৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। মাঝ পথে বিতর্ক ওঠায় কাজ থামিয়ে দেওয়া হয়। যে টুকু কাজ হয়েছে, মানুষকে সেই টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়। বাকী টাকা রয়েছে। এর মধ্যে দুর্নীতিটা কোথায়? প্রশাসনের তদন্তেই সত্যাসত্য বোঝা যাবে।” ১০০ দিনের কাজের পাশাপাশি ওই পঞ্চায়েতে আরও কিছু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগেও আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে তারা। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ বার্ধক্য, ভাতা, বিধবা ভাতা থেকে শুরু করে ইন্দিরা আবাস, গীতাঞ্জলী সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি হয়েছে। এ সব ক্ষেত্রেও অভিযোগ মানেননি সিপিএম নেতৃত্ব।

Advertisement

অমিল ‘সার্চিং পেপার’, জমি কেনাবেচায় সমস্যা ৫ ব্লকে

নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ

জমি সংক্রান্ত তথ্য জানার ‘সার্চিং পেপার’ মিলছে না আরামবাগ মহকুমার ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরগুলিতে। ফলে সম্পত্তি বা জমি কেনা বেচার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে হয়েছে। গত ২০-২২ দিন ধরে এমন অবস্থা চলছে খানাকুলের দুটি ব্লক, আরামবাগ, গোঘাটের দুটি ব্লক এবং পুড়শুড়া ব্লকের ৬৩টি পঞ্চায়েত এলাকায়। এ নিয়ে প্রায় রোজই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ওই সব এলাকার মানুষ। এ ব্যাপারে মহকুমা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিক স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, “গত ১৬ অগস্ট থেকে সার্চিং পেপার নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। জেলা দফতরকে সমস্যাটি জানিয়েছি। খুব শীঘ্রই এটা মিটে যাবে।” মহকুমার ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরগুলি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন প্রতিটি ব্লক অফিস পিছু গড়ে ২০০টির উপর সার্চিং হয়। একটি দাগের সার্চিং পিছু সরকারের ২০ টাকা আয় হয়। সার্চিং পেপারের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, অথচ সরকারি তহবিলের অভাবে সেই অনুপাতে জোগান থাকছে না। এর ফলে একদিকে যেমন সরকারের আয় কমছে তেমনই মানুষের ক্ষোভও বাড়ছে তাদের উপর। আরামবাগের নৈসরাই গ্রামের আফরোজ খান, পুড়শুড়ার সোদপুরের নির্মল মন্ডল, খানাকুলের পাতুল গ্রামের সুকুমার রায়ের অভিযোগ, সার্চিং পেপার না থাকায় জমি কার নামে, জমির কি চরিত্র কিছুই জানা যাচ্ছে না। ফলে রেজিস্ট্রিও হচ্ছে না। নানা জরুরি প্রয়োজনে কেউ জমি কিনতে চাইছেন, কেউ বিক্রি করতে চাইছেন। কিন্তু এ হেন পরিস্থিতিতে সে সব বন্ধ। ফলে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) তথা জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক আবিদ হোসেন বলেন, “আরামবাগ মহকুমায় সার্চিং পেপার সরবরাহের ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে। আর সমস্যা থাকবে না।”

মারধরে অভিযুক্ত শিক্ষক

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

এক দশম শ্রেণির ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার গোলাবাড়ি এলাকার একটি স্কুলে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ক্লাস চলাকালীন অংশুল গুপ্ত নামে ওই ছাত্র এক সহপাঠীর সঙ্গে কথা বলছিল। এই ঘটনা দেখতে পেয়ে শ্রেণি শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। অভিযোগ, এর পরেই তিনি অংশুলকে প্রচণ্ড মারধর করেন। আরও অভিযোগ, মাথা বেঞ্চের নিচে গুঁজে রেখে তার ঘাড়ে আঘাত করা হয়। এর পরে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরিজনেরা অংশুলকে নার্সিংহোমে ভর্তি করেন। পরে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। ওই শিক্ষক মারধর করার কথা অস্বীকার করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

তামিলনাড়ু থেকে বাড়িতে ফিরলেন আহত পর্যটকেরা

নিজস্ব সংবাদদাতা • গোঘাট

দক্ষিণ ভারত ভ্রমণে বেড়িয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি যাত্রীরা বুধবার বাড়ি ফিরলেন। তাঁদের মধ্যে ৪০ জন যাত্রী খড়গপুর স্টেশন থেকে হুগলির গোঘাট ২ ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে বাড়ি ফেরেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, ট্রেনে করে খড়্গপুর পৌঁছনোর পরে রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশে সেখান থেকে ওই ৪০ জনকে প্রথমে গোঘাট ২ বিডিও অফিসে এনে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা হয়। তার পরে গাড়িতে করে তাঁদের পাড়িতে পাঠানো হয়। বিডিও শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত জানান, ওই যাত্রীদের মধ্যে ১৭ জন তারকেশ্বর ব্লক এলাকার বাসিন্দা। বাকিদের বাড়ি পুড়শুড়া, খানাকুল, জাঙ্গিপাড়া, গোঘাট, বর্ধমানের গোতান, বাঁকুড়ার কোতলপুর ও হাওড়ায়। গত শনিবার তামিলনাড়ুর তিরুপুলাম এলাকায় শর্ট সার্কিট থেকে বাসটিতে আগুন ধরে গেলে ৫ যাত্রী পুড়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। হতাহতেরা সকলেই এই রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।

নাবালিকার বিয়ে রুখলেন বিডিও

নিজস্ব সংবাদদাতা • ডোমকল

এক নাবালিকার বিয়ে রুখল প্রশাসন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডোমকল থানার কুশাবাড়িয়া গ্রামে বিয়ের আসরে গিয়ে ওই বিয়ে বন্ধ করেন ডোমকলের বিডিও রবীন্দ্রনাথ মিশ্র। তিনি বলেন, “ ওই নাবালিকা কুশাবাড়িয়া গালর্স স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তার দিদিও নবম শ্রেণিতে পড়ছে। অথচ তার বাবা ঘোড়ামারা গ্রামের বছর উনিশের আব্দুর রসিদের সঙ্গে সন্ধ্যায় গোপনে বিয়ে দিচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশের সাহায্য নিয়ে বিয়ে বন্ধ করি।” উভয়পক্ষ বিয়ে বন্ধের মুচলেকা দিয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

দুর্ঘটনায় অবরোধ

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

দু’টি ভারি গাড়ির মুখোমুখি ধাক্কার জেরে প্রায় ৮ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকল জাতীয় সড়ক। মারত্মক জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন দু’টি গাড়ির চালক-সহ তিন জন। মঙ্গলবার গভীর রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দুবরাজপুর থানার ১০০ মিটারের মধ্যে রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে।

নিষিদ্ধ ওষুধ, ধৃত ২

নিজস্ব সংবাদদাতা • ডোমকল

নিষিদ্ধ ১৭ হাজার স্প্যাজমো প্রক্সিভ্যান ট্যাবলেট ও নগদ ৫৪ হাজার টাকা-সহ দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে মোস্তফা শেখ ও সবিতা দাস নামে ওই দু’জনকে মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানার গোধনপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

আগুনে পুড়ে মৃত

অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক বধূর। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম বনা লেট (৪৮)। বাড়ি রামপুরহাট থানার কামাক্ষ্যা গ্রামে। মঙ্গলবার ওই বধূ নিজেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়েছিলেন। মারাত্মক জখম অবস্থায় তঁকে রামপুরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই বধূ মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement