ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে ধৃত পড়শি
এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে তাঁর পড়শি যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে বিষ্ণু চৌধুরী নামে ত্রিবেণীর শিবপুরের বছর ত্রিশের ওই যুবককে মগরার কুন্তীঘাট এলাকায় তাঁর আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় ছাত্রীটিকে। শনিবার ধৃতকে চুঁচুড়া আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাকে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ছাত্রীকে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার সকালে দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী অটো করে টিউশন পড়তে যান। কিন্তু দুপুরেও না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাঁদের মেয়ে পড়তে যাননি। বিষ্ণু অটো থেকে ওই যুবতীকে নামিয়ে অন্য অটোতে তুলে কুন্তীঘাটের দিকে নিয়ে চলে যায়। দুপুরের পরে ছাত্রীর বাবা বিষ্ণুর একটি ফোন পান। তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছেন, ফোনে বিষ্ণু তাঁদের মেয়েকে বিয়ে করে অন্যত্র নিয়ে চলে যাওয়ার কথা বলে। এর পরেই ছাত্রীর মা বিষ্ণুর বিরুদ্ধে থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। বিষ্ণুর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তাকে ধরে পুলিশ। বিষ্ণু গাড়ি চালানোর কাজ করত। ছাত্রীর মায়ের দাবি, “মেয়ের সঙ্গে বিষ্ণু সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ওর পরিচয় জানতে পেরে মেয়ে আর যোগাযোগ রাখেনি। তা সত্ত্বেও বিষ্ণু মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। হুমকি দিয়ে জোর করে বিয়ে করার মতলবে ছিল।”
দুর্ঘটনায় মৃত একই পরিবারের ৩ জন
গাড়িতে কালনা যাওয়ার পথে একটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল শিয়ালদহের একটি ব্যবসায়ী পরিবারের তিন জনের। শনিবার বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে হুগলির দাদপুর থানার হামিরা ক্রসিংয়ে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে। পুলিশ জানায়, মৃতেরা হলেন সুবীর সেন (৬০), তাঁর স্ত্রী তৃণাদেবী (৪৮) এবং সুবীরবাবুর দাদা তীর্থ সেন (৬২)। জখম হয়েছেন তীর্থবাবুর স্ত্রী রত্নাদেবী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনায় সুবীরবাবুদের পৈতৃক বাড়ি। সেখানে রাখি এবং ঝুলন উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য একটি গাড়িতে এ দিন দুপুরে রওনা হন সুবীরবাবুরা। হামিরা ক্রসিংয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। সুবীরবাবুই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় পুলিশ আহতদের চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই ওই তিন জন মারা যান। রত্নাদেবীর অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়।
পঞ্চায়েতে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ
মাছের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে হুগলি জেলায় এ বার পঞ্চায়েত স্তরে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ শুরু হতে চলেছে। জেলা মৎস্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জেলার ১৮টি ব্লকের ২০৭টি পঞ্চায়েতে ওই প্রশিক্ষণ শুরু হবে। তিন দিনের ওই প্রশিক্ষণ শিবিরে আধুনিক প্রযুক্তি এবং তার ব্যবহার নিয়ে মৎস্যচাষিদের সচেতন করা হবে। প্রশিক্ষণে যে সব মৎস্যচাষি সামিল হবেন, তাঁদের প্রতিদিন ১০০টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। পঞ্চায়েতপিছু ১৫ জন মৎস্যচাষি সামিল হতে পারবেন এই প্রশিক্ষণ শিবিরে। এই প্রশিক্ষণের পর তাঁদের নিয়ে ব্লক স্তরে আরও এক দফায় ৫ দিনের প্রশিক্ষণ হবে। এত দিন কেবল জেলা এবং ব্লক স্তর পর্যন্ত ওই প্রশিক্ষণ হত। ফলে, অনেকেই প্রশিক্ষণের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন।
রাখিবন্ধনে সামিল হল পুলিশও
বিভিন্ন ক্লাব এবং সংগঠনের পাশাপাশি এ বার রাখিবন্ধন উৎসবে সামিল হল আরামবাগ থানাও। রবিবার পুলিশের একটি ভ্যান বেলুন দিয়ে সাজিয়ে মহিলা পুলিশকর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে রাখি বাঁধলেন। আরামবাগ পুরসভার পক্ষেও শহরের কয়েকটি মোড়ে মঞ্চ করে রাখিবন্ধন উৎসব পালন করা হয়। গোঘাট, খানাকুল, পুড়শুড়া এবং আরামবাগের বিভিন্ন গ্রামেও উৎসব হয়। চলে মিষ্টি বিতরণ।